× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লোকমানের পরিবর্তে তানজিল চৌধুরী

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফেসিলিটিজ বিভাগের প্রধান লোকমান হোসেন রয়েছেন জেলহাজতে। বিসিবির এই পরিচালক মোহামেডান ক্লাবের ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন। ক্রিকেট বোর্ডে তার পদের দায়িত্ব  সামলাচ্ছেন বিসিবির আরেক পরিচালক তানজিল চৌধুরী। যদিও বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এখনো চিঠি দেয়া হয়নি। তবে  বিসিবির বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের পর এরই মধ্যে বিভাগের কাজ শুরু করেছেন বলেই জানান তিনি। এতদিন তিনি ফেসিলিটিজ বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন। গতকাল মুঠোফোনে তিনি দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আসলে আমি এখনো বিসিবির আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি। হয়তো আগামী বোর্ড সভাতেই তা নিশ্চিত হবে।
তবে আমি তার (লোকমান) পরিবর্তে কাজ শুরু করে দিয়েছি। বিসিবি সভাপতি (নাজমুল হাসান) অনেক নিয়মই পুনর্গঠন করেছেন। এর মধ্যে ফেসিলিটিজ বিভাগকে বলা হয়েছে আঞ্চলিক পর্যায়ে ফিটনেস সুবিধা শক্তিশালী করার জন্য। আমি তার কথা অনুসারেই কাজ শুরু করতে চাইছি।’
প্রশ্ন হচ্ছে লোকমান হোসেনকে কি পদ থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেয়া হচ্ছে? বিসিবির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে এখনো জানানো হয়নি বিষয়টি। বিসিবির সিইও নিজামুুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সভায় বোর্ড সভাপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন লোকমান হোসেনের দায়িত্বগুলো পালন করবেন তানজিল চৌধুরীই। কারণ তিনি এই বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান আগে থেকেই ছিলেন। যেহেতু চেয়ারম্যান নেই তার অনুপস্থিতিতে তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন।’ মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেনের ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির জন্য বিসিবির ভাবমূর্তি ভিষণ ভাবেই ক্ষূন্ন হয়েছে। জানা যায়, তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে পুরো দায়িত্ব তানজিল চৌধুরীকেই দেয়া হচ্ছে। বিসিবি’র পরবর্তি বোর্ড সভাতেই তা নিশ্চিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও আগেই বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন লোকমান হোসেন বিসিবির যে সব স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আছেন সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বোর্ড মিটিংয়ে। তিনি বলেছিলেন, ‘এই বিষয়ে (লোকমান ভূঁইয়া ইস্যু) সভাপতি কিছুদিন আগেই আপনাদের ক্লিয়ার করে দিয়েছেন। যদি উনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে বোর্ড থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে সরানো সম্ভব হলেও বিসিবির পরিচালক পদে লোকমান বহালই থাকবেন। বিসিবি’র সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১৮তে। তাই বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে চার বছর পর। তার মানে ২০২২ সালে। এই সময়ের মধ্যে লোকামনের অপরাধ প্রমাণ হলে, তার শাস্তি হলে বিসিবি পরিচালক পদ  থেকে বহিষ্কার সম্ভব। শুধু তাই নয়, লোকমান হোসেনের মামলা যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষের দায়েরকৃত এবং দেশের প্রচলিত আইনেই এর বিচার হবে, তাই এ বিচারের পর আর তেমন কিছু করতে হবে না বিসিবিকে। অপরাধী প্রমাণিত হলে বিসিবির আচরণবিধিতে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা হবে তার বিরুদ্ধে। তবে জানা গেছে বিসিবির বেশির ভাগ পরিচালকই চান না লোকমান এমন  কেলেঙ্কারির পর তার পদে বহাল থাকুক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর