× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি /কেন্দুয়ায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নির্যাতিত গৃহবধূ

বাংলারজমিন

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় যৌতুক না দেয়ায় পুলিশ সদস্য স্বামী জুয়েল মিয়ার নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পাখি আক্তার নামে এক গৃহবধূ। এ ঘটনাটি উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের জফরপুর গ্রামে ঘটেছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জুয়েল মিয়া জফরপুর গ্রামের আবদুল কদ্দুছ। তার ক্রমিক নং-৩০১৮। জুয়েল মিয়া ঢাকার গুলশান এলাকায় কর্মরত। এ ঘটনায় স্বামী জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী পাখি আক্তার। সূত্র জানায়, পাঁচহার গ্রামের রূপ মিয়ার কন্যা পাখি আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার জফরপুর গ্রামের আবদুল কদ্দুছের ছেলে পুলিশ সদস্য জুয়েল মিয়া রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ে হয়। পুলিশ বর হওয়ায় বিয়েতে দেয়া হয় বিভিন্ন প্রকারের দামি উপঠৌকন।
বিয়ের পর থেকে জুয়েল মিয়া স্ত্রী’র কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। গত ৫ই জুলাই রাতে এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে জুয়েল মিয়া তার স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরের দিন খবর পেয়ে পাখির ভাই ও এলাকার মাতব্বরগণের সহায়তায় পাখিকে আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী এক বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে পাখি আক্তার সুস্থ হয়ে গত ২৭শে জুলাই নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কেন্দুয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করায় সমাজসেবা কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করছেন। নির্যাতিত গৃহবধূ পাখি আক্তার ও তার বড় ভাই শাহজাহান জানায়, বিয়ের সময় নগদ টাকাসহ স্বামীর পছন্দ অনুযায়ী দামি দামি জিনিসপত্র দেয়া হয়। এ ছাড়া দুই দফায় বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেই। এবার তিনি ৩ লাখ টাকা দাবি করছিল। এই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে মারপিট করে। এখন মামলা তুলে নেয়ার জন্য তার স্বামী বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টিসহ নানা রকমের হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় তারা। এ ব্যাপারে জুয়েল মিয়ার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। কেন্দুয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইউনুস রনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর