× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এখন দেশে চলছে ভানুমতির খেল: রিজভী

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ২০, ২০১৯, রবিবার, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,এখন দেশে চলছে ভানুমতির খেল। তারা এখন নানা তেলেসমাতি দেখানোর চেষ্টা করছে। চেষ্টা করছে জনগণকে ধোকা দেয়ার।  রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

উন্নতির প্রচারণার আড়ালে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। ক্যাসিনো অভিযানের নামে ছিঁচকে কিছু দুর্নীতিবাজ ধরা হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদেরকে কবে ধরা হবে সে প্রশ্নও তুলেছেন জনাব মেনন(রাশেদ খান মেনন) উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, অবশেষে সত্য কথাটা অকপটে জনগণের সামনে স্বীকার করতে হলো মেনন সাহেবকে। বিবেকের তাড়নায় মেনন সাহেব যে সত্যকথাগুলি বলতে শুরু করেছেন, হয়তো কয়েকদিন পর ওবায়দুল কাদের এবং হাসান মাহমুদরাও বলবেন। আর এই কথাগুলি যতোই তাদের নিকট থেকে বেরিয়ে আসবে ততোই বন্ধক রাখা আত্মা মুক্ত হবে।

রিজভী আরও বলেন,  এখন যারা গণভবন দখলে রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চটুল কথাবার্তা বলছেন, নয় লক্ষ কোটি টাকা পাচারের দায় দায়িত্ব তারা এড়াতে পারবেন না-যা মেনন সাহেব উল্লেখ করেছেন। খালেদ, শামীম কিংবা ক্যাসিনো সম্রাটদের কাঁধে টাকা পাচারের দায় দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে গণভবন দখলকারীরা নিজেদের দায়মুক্তির যেই কূটকৌশল অবলম্বন করছেন, তাদের চালাকি জনগণের কাছে স্পষ্ট।


দেশ চলছে সম্পূর্ণ উল্টো পথে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, যারা অপরাধী রাজদন্ড তাদের হাতে। আর নিরাপরাধ থাকেন কারাগারে। গণতন্ত্র ও দেশের পক্ষে কথা বলার কারণেই আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। শেখ হাসিনার পলিটিক্যাল মনোপলি নীতির কারণেই নিহত সংবিধান, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ নির্বাচন। কিন্তু সত্যের ঢোল বাতাসে বাজে, অপকর্ম করেও কখনও কখনও বিবেকের তাড়নায় সত্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয় মানুষ, বিবেকবান মানুষের মনে অপরাধবোধ অস্থিরতা সৃষ্টি করে। দুর্নীতিবাজ সরকারের বিশ্বস্ত কমরেড রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কি তা আমাদের জানা নেই তবে জাতির সামনে রাজস্বাক্ষী হয়ে রাতের ভোটের ভোট ডাকাতির স্বীকারোক্তি প্রদানের মাধ্যমে নিজের দায় ও অপরাধ তিনি স্বীকার করে নিলেন। এই বক্তব্যের পর নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক দিয়ে সরকারের উচিত সংসদ ভেঙে দেওয়া।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর