দেশের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও দুই হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামিকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফঁসি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুভোগী এক বাবা। জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দশ বছর আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার জেলার কালাই উপজেলার পূর্ব পাড়া গ্রামের আ. হাকিমের বাবা জামাল উদ্দিন এ দাবি করেন। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত হাকিমের ভুক্তভোগী বাবা জামাল উদ্দিন লিখিত অভিযোগে জানান, একই উপজেলার মোলামগাড়ী হাটের মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে শীর্ষ মাদক কারবারি লেবু মিয়া ওরফে সাজু ও তার সন্ত্রাসীরা ২০০৯ সালের ২৮শে মে তার ছেলে হাকিমকে কালাই বাজারে দিনে দুপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন। ওই দিনই তিনি বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন কিন্তু অদ্যাবধি ওই মামলার আসামী হিসাবে লেবু মিয় ধরা পড়েনি। এর আগে লেবু ২০০৩ সালে বগুড়ায় অপহরণের পর শাপলা খাতুন নামের এক কিশোরীকেও এসিড নিক্ষেপ করে ও পুড়িয়ে হত্যা করেন। এসব হত্য মামলার প্রধান পলাতক আসামী লেবু তার আসল নাম ঠিকানা গোপন ও ছদ্মনাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারে জড়িত হয়ে পড়েন। পরে তার সহযোগীদের নিয়ে ফেন্সিডিলসহ রাজশাহীর বাঘা থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে রাজশাহী কারাগারে রয়েছেন কিন্তু এ দুটি হত্যা মামলায় তাকে এখনো গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
লেবু মিয়া ছদ্মনাম সাজু মিয়া নামে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আটক রয়েছে।
হত্যা, ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি লেবু ও সহযোগীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ও ক্ষতিপূরন দাবি করেন নিহত হাকিমের বাবা। তিনি পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দশ বছর অনেক সময় পার হয়েছে এতদিনে আসামীকে ধরা উচিত ছিল কিন্তু তা হয়নি এবার সকলকে সোচ্চার হয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি করেন।