রৌমারীতে মমতাজ আক্তার জিম্মি নামের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৮টার দিকে ব্রহ্মপুত্রের দুর্গম একটি চরের কাশবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ৪ দিন আগে নিখোঁজ হয় জিম্মি। ধারণা করা হয়, ওইদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয় তাকে। এরপর হাতপা বেঁধে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। নিহত জিম্মি উপজেলার চরঘুঘুমারী এলাকার দিনমজুর শাহআলম মিয়ার কন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মমতাজ আক্তার জিম্মি পাখিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কেবা কারা ওই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদের চরের ওই কাশবনে রেখে যায়।
নদে মাছ ধরতে যাওয়া একদল জেলে সন্ধ্যার দিকে লাশের খোঁজ পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে নিহতের পরিবার গিয়ে লাশ শনাক্ত করে এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়। থানা থেকে ঘটনাস্থল প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার দূরে। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পুলিশের সময় লাগে। এর আগে গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয় তাকে। তবে অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
পাখিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান দুলাল জানান, মেয়েটির গায়ে স্কুল ড্রেস এবং তার হাত-পা বাধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। লাশের পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে বোঝা যায় যেদিন নিখোঁজ হয় ওই দিনই তাকে খুন করা হয়েছে। তিনি জানান, মেয়েটার মা মারা গেছে অনেক আগে। অনেক কষ্ট করে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতো সে। এবারের জেএসসি টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতো সে। তার মতে, এলাকার বখাটেরা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। বখাটেপনার কারণেই এ ঘটনা ঘটছে-এমনটাও আলোচনা হচ্ছে। রৌমারী থানার ওসি হাসান ইনাম জানান, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ময়না তদন্তেরপর সব কিছু বের হয়ে আসবে।