পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি টাকার বিনিময়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে- পাবনার সাবেক বিতর্কিত যুবলীগ নেতার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রচার হওয়ায় তার প্রতিবাদ করে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রোববার দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি। তিনি বলেন, চলতি বছরের ৪ঠা জুলাই ১৭ বছরের অধিক সময়ের মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিষ্ক্রিয় পাবনা জেলা যুবলীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পুনঃগঠনতন্ত্রের আলোকে যৌথ স্বাক্ষরে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। কাজেই ৫/৭ কোটি টাকা দিয়ে চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে পাবনা জেলা কমিটি গঠন করা নিয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। নেতৃবৃন্দ বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর পরই সুজানগর ও সাঁথিয়ায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উপজেলার সম্মেলন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং জেলার অন্যান্য উপজেলায় বর্ধিত সভাসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো পালন করা হচ্ছে। বর্তমানে জেলা যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। নতুন উদ্যমে যখন পাবনা জেলা যুবলীগ পুনর্গঠন শুরু হয়েছে তখন কেন্দ্রীয় যুবলীগের এই ডামাডোলে পাবনা জেলা যুবলীগের কমিটিকে বির্তকিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষে একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে।

সম্মেলনে আরো বলা হয়, যে সব উপজেলায় সম্মেলন করা হয়েছে এবং সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেই সকল সম্মেলন সফল করতে জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে প্যান্ডেল বানানো থেকে শুরু করে সকল খরচ বহন করা হচ্ছে। যাতে কোন রকম বিতর্কিত প্রশ্ন না ওঠে। তা ছাড়া কেউ মাদকাসক্ত আছে কিনা তা ড্রপ টেস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা যাচাই করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদ্দিক, সদস্য ফাহিমুল কবির খান শান্ত, শাকিরুল ইসলাম রনি, আনোয়ার হোসেন লালুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।