× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

আর্থিক খাতের ঋণ প্রবাহ ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২১ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার

সর্বকালের কঠিন ও চরম সংকটে দিন পার করছে দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাংকসহ পুরো আর্থিক খাতে দৈন্যদশা বিরাজ করলেও একেবারে কোণঠাসা নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম এবং পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগির মতো অপরাধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এ খাতে। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত অর্থবছরে শেষ তিন মাসে আর্থিক খাতে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি মাত্র ৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ স্থিতি ৬৭ হাজার কোটি টাকা। গত মার্চ শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ছিল ৬৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর অর্থ, মার্চের তুলনায় জুনে ঋণ না বেড়ে উল্টো এক হাজার ১০০ কোটি টাকা কমেছে।
তবে আগের তিন প্রান্তিকে সামান্য হলেও ঋণ বেড়েছে। সব মিলিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণে প্রবৃদ্ধি রয়েছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ২০১৮ সালের জুন শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ স্থিতি ছিল ৬৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে সাধারণ আমানতকারীদের মতো অনেক ব্যাংক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। পিপলস লিজিং ছাড়াও বিআইএফসি, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্সসহ কয়েকটি কোম্পানিতে জমানো টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে বিপাকে আছে বিভিন্ন ব্যাংক। সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি এসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সুরাহা পায়নি। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো নতুন করে আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে চাইছে না। অনেক ব্যাংক মেয়াদ না বাড়িয়ে জমানো টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে চাপে পড়েছে পুরো আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। তথ্য বলছে, এর আগের অর্থবছরেও (২০১৭-১৮) আর্থিক খাতের বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে একেবারেই ভেঙে পড়েছে এই প্রবৃদ্ধি। গত দশ বছরের মধ্যে এর আগে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি ছিল ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। সেই বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
সমপ্রতি পিপলসি লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর অবলুপ্তির ঘোষণায় আতঙ্কিত আর্থিক খাতের বিনিয়োগকারীরা। মুদ্রাবাজার ও শেয়ারবাজারে দেখা যাচ্ছে তার প্রামাণ। পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের খবরে লিজিং কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারী খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। উল্টো হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। পিপলস ছাড়াও এ খাতের আরো কয়েকটি কোম্পানির অবস্থা খুবই নাজুক। সেগুলোর বিষয়েও পিপলস লিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন কেউ কেউ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর