× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাক-ভারত সীমান্তে গুলির লড়াই

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২১ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার

কাশ্মীর সীমান্তে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। উভয়েই অপর পক্ষের ওপর প্রথমে হামলা করার অভিযোগ এনেছে। দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহতের বিবৃতি দেয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একাধিক বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। শনিবার ও রোববার এসব ঘটনা ঘটে। আগস্টে ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের
স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহারের পর দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সংঘর্ষপূর্ণ দিন ছিল এটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার প্রথম অভিযোগ আসে ভারতের পক্ষ থেকে। তারা জানায়, শনিবার রাতে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তাংধার অঞ্চলে বোমা হামলা চালানো হয়।
এ হামলায় দুই ভারতীয় সেনা ও একজন বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চারটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে পাঁচ জন সন্ত্রাসী নিহতের দাবি করা হয়। অন্যদিকে, পাকিস্তানি গণমাধ্যম দেশটির সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে জানায়, ভারতীয় হামলায় এক পাকসেনা ও তিন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ভারতের এই হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়ে নয় ভারতীয় সেনা হত্যার দাবি করে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, স্বতন্ত্রভাবে কোনো পক্ষের দাবি যাচাই করতে পারেনি তারা।  
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীর নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তৎকালীন স্বাধীন অঞ্চলটি দুই দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। অঞ্চলটি নিয়ে ইতিমধ্যে তিন বার যুদ্ধ হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। চলতি বছরের আগস্টে ভারতশাসিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে প্রায় আড়াই লাখ সেনা মোতায়েন করে ভারত সরকার।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া রয়টার্সকে জানান, বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতে হামলা চালিয়েছে। জবাবে পাকিস্তানের ভেতর জোরদার হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের ভেতর জঙ্গিদের প্রবেশে সাহায্য করতে প্রথমে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যদি এরকম হামলা চালাতে থাকে, তাহলে তা ভারতকে নিজেদের ইচ্ছামতো সময় ও স্থানে হামলা চালানোর অধিকার এনে দেবে।
এদিকে, পাকিস্তানও দাবি করেছে যে, প্রথম হামলাটি করা হয় ভারত থেকে। ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, ভারতের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে নয় ভারতীয় সেনা নিহত ও তাদের দুটি বাংকার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিবারই এমন যথাযথ জবাব দেয়া হবে।
এদিকে, এক টুইটে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী রাজা ফারুক হায়দার জানান, ভারতশাসিত কাশ্মীরের সেনারা উন্মাদ হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, ভারতের হামলায় অঞ্চলটিতে ছয় বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ও আরো আট জন আহত হয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর