× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাউন্সিলর রাজীবের ১৪ দিনের রিমান্ড

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ২১, ২০১৯, সোমবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

মাদক ও অস্ত্র মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার রাতে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মাদক মামলায় সাত দিন ও অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ভাটারা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাদক মামলায় ১০ দিন ও অস্ত্র আইনে মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রাজীবকে গত শনিবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে  রোববার রাতে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান।

বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনার মধ্যেই শনিবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা রাজীবকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে সাতটি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

পরে তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় র‌্যাব। রাতভর ওই অভিযানে পাঁচ কোটি টাকার চেক ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।
আগে থেকেই সতর্ক থাকায় কাউন্সিলর রাজীব আর্থিক লেনদেনের আলামত সরিয়ে ফেলেছেন বলে র‌্যাবের ধারণা।

মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, আমরা  মোহাম্মদপুরে তার বাসা এবং অফিসে তল্লাশি করেছি। সেখানে তেমন কিছু পাইনি। কারণ আমরা যা বুঝতে পেরেছি তার বাড়িতে আর্থিক লেনদেন-সংক্রান্ত যেসব ডকুমেন্ট ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে তারই এক সহযোগির বাড়ি থেকে একটি চেকবই উদ্ধার করা হয়েছে। বইটিতে দেখা গেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে একদিনে (তিনটি চেকের মাধ্যমে) পাঁচ  কোটি টাকা জমা দেয়া হয়েছে। আমরা এগুলো তদন্ত করে দেখছি কোথায় টাকা জমা দিয়েছেন, টাকাগুলো কোথায় গেছে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং এই অর্থ তিনি কোথায় খরচ করেছেন দেখা হবে। যদি এখানে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো বিষয় থাকে তখন তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা হবে।

সারওয়ার আলম বলেন, তার যে একটি রাজকীয় বাড়ি রয়েছে এ বাড়িটির বাজারমূল্য প্রায় ১০  কোটি টাকা। বাড়ির প্রত্যেকটা আসবাবপত্র থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিস সে বাইরে থেকে আমদানি করেছে। এসব জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে মনে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর হওয়ার আগ পর্যন্ত তার দৃশ্যমান কোনো ধরনের ব্যবসা বা পেশা ছিল না। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন থেকে যে সম্মানি পান সেটা তার আয়ের একমাত্র প্রধান উৎস। এছাড়া যে অবৈধ লেনদেনের বিষয়গুলো রয়েছে, সেসব তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর