× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্বে আসছেন কারা?

বাংলারজমিন

নাজিম উদ্দিন খোকন, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) থেকে
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

 দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দলের গণতান্ত্রিক ও তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে কোন কমিটি গঠন করা হয়নি। এ কারণে দলে কোন ডায়নামিক নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। তাই এবার কে হচ্ছেন নতুন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক এ নিয়ে চলছে আলোচনা। এদিকে কমিটি ঘোষণা নিয়ে জটিলতা যেন পিছু ছাড়ছে না বিএনপির। কমিটি চূড়ান্ত করার ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। বলা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত তৃণমূল নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি পড়েছে এ নেতৃত্বের ওপর। যখনই কমিটি ঘোষণার প্রস্তুতি নেয়া হয় তখনই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ না কেউ বাগড়া বসান। নানা নাটকীয়তার পর ২০১০ সালে আবদুল হাই সেলিমকে সভাপতি ও নুরুল আলম শিকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন মওদুদ আহমদ ।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হলেও নানা জটিলতায় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণার কথা আলোচনায় আসলে শুরু হয় পদ প্রত্যাশীদের তোড়জোড়।
তৃণমূল নেতাদের দাবি- এবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কমিটি গঠন করা হোক। যেহেতু দল এখন অস্তিত্ব রক্ষার্থে লড়াই করে যাচ্ছে সেহেতু দলকে চাঙ্গা করতে পারে এমন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হোক। যাতে করে পুনরুদ্ধার করা যায় বিএনপির পুরানো ঐতিহ্য ও সুনাম। অনেকের সঙ্গে আলাপ করে এ দুটি পদে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- সভাপতি পদে পৌর বিএনপির বর্তমান সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির পলাশ। সম্পাদক পদে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন- উপজেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম শিকদার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল মতিন লিটন ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপন, যুবদল সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন। নোয়াখালী জেলা কৃষক ও তাঁতী, উপকূলীয় অঞ্চল উন্নয়নের সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান (চরএলাহী) আবদুল মতিন তোতা জানান, আমি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে মতামত দিয়েছি। উনি যেন আমাদেরকে উপজেলায় ও পৌরসভায় যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে সভাপতি ও সম্পাদক পদে নিয়োজিত করেন। আমি আরও বলেছি, দীর্ঘদিন দরে অত্যাচার, অনাচার সহ্য করে মওদুদ আহমদের পিছনে রাজনীতি করিয়া আসছি। এতে করে স্যার যেন আমাকে ভালো একটি পদ দেন।
বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির পলাশ জানান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এবং আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নাই। তিনি আমাকে যদি যোগ্য মনে করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি তৃণমূল থেকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক ও তাঁতী দল কে অর্থ ও রক্ত দিয়ে হলেও খুবই দ্রুত প্রতিষ্ঠিত করব। একই কথা বলেছেন ৮নং চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসমাইল হোসেন। তিনি জানান, আমাদের চাওয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠন করা হোক। এদিকে সম্মেলন বিষয়ে হুমায়ুন কবির পলাশ, নুরুল আলম শিকদার, আবদুল মতিন লিটন, মাহমুদুর রহমান রিপন, জেলা কৃষক দলের সভাপতির সাথে আলাপ করলে তারা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। উনি যা ভালো মনে করবেন তাই করবেন। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।





 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর