× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমরণ অনশনে নন এমপিও শিক্ষকরা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

আমরণ অনশনে বসেছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। গত রোববার রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আলোচনা সন্তোষজনক না হওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার আলোচনা শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও দেয়া হবে। বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হবে। পরিবর্তিত নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিবছর এমপিও দেয়া হবে। এমপিও প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণ করা হবে নিয়মিত। সেই সঙ্গে যারা নীতিমালা অনুযায়ী ফলাফল করবে না তাদের এমপিও বাতিল করা হবে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এই আলোচনা শেষে ডা. দীপু মনি আরো বলেন, বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী এ বছরের এমপিও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নতুন কোন প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার সুযোগ নেই। এর ব্যত্যয় হলে আদালতে মামলা হবে। ফলে, যোগ্য বিবেচিত হওয়া সকল এমপিও বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষকদের আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাবার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে অসন্তোষ প্রকাশ করে আমরণ অনশনের ডাক দেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। তারা গতকাল সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন, নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহামুন্নবী ডলার। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক দেয়ার আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট না। আমাদের দাবি আদায় হয়নি। আর এই আশ্বাসে আমরা ফিরে যাচ্ছি না। আন্দোলন নিয়ে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি নীতিমালার অসঙ্গতি রয়েছে এটা তিনি স্বীকার করেছেন। তিনি সংশোধনের কথা বলেছেন। তারপরেও পূর্বের নীতিমালায় এমপিও হচ্ছে। এটি আমরা মানি না। এই আমরণ অনশন আমরা চালিয়ে যাবো। উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা দেশে এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক আছেন প্রায় ৫ লাখ। স্বীকৃতি পেলেও এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো। আর স্বীকৃতি না পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে আরো কয়েক হাজার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর