আখাউড়ায় এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে কয়েকজন পাষণ্ড। ওই ছাত্রীর হাত ও পায়ে ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে পাষণ্ডরা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ছোট কুড়িপাইকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, রোববার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা তার মাকে ডাক্তার দেখাতে আখাউড়া শহরে যায়। এ সুযোগে একা ঘরে পেয়ে ওই ছাত্রীর হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে হাত ও পায়ে ব্লেডের পোঁচ দেয়। ওই ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনও চালায় পাষণ্ডরা।
ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে আখাউড়া হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বিকেলে ডাক্তারের কাছে যাই। বাড়িতে আমার মেয়ে একা ছিল। এ সুযোগ নিয়ে পাষণ্ডরা আমার মেয়ের বর্বর নির্যাতন চালায়। তিনি আরো বলেন কয়েক দিন আগে পাশের আনোয়ারপুর গ্রামের কাজলের সাথে আমার ঝগড়া হয়। সে আমাকে হুমকি দিয়ে ছিল আমার মেয়ে মেরে ফেলবে। কাজল বর্তমানে জেলে রয়েছে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের মোশারফ (৩৫) ও বেলাল (৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা আনোয়ারপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কাজলের সহযোগী।