লক্ষ্মীপুরে কিশোরীলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাহাদুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পশ্চিম বাহাদুর এলাকা থেকে শরীফ হোসেন ও রাসেল নামে দুই যুবককে আটক করে। পুলিশ ও নির্যাতিত ওই কিশোরীর স্বজনরা জানায়, শাওন নামের এক ছেলের সাথে ওই কিশোরী সম্পর্ক ছিল। এ সুবাদে শাওন বিয়ের কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় যুবতীকে। পরে উপজেলার বাহাদুর এলাকার ইমাম হোসেন নামের এক ব্যক্তির ঘরে আটকিয়ে রেখে শাওন ও তার দুই বন্ধু শরীফ হোসেন ও রাসেল পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে ভোররাতে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান. গণধর্ষণের ঘটনায় পশ্চিম বাহাদুর এলাকা থেকে তোতা মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন ও আতর মিয়ার ছেলে রাসেলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বন্দরে গার্মেন্টকর্মীবন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: বন্দরে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে এক গার্মেন্ট শ্রমিককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে বখাটেরা। সোমবার রাতে কুড়িপাড়া খালপার এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরমান (২০) ও সগির (২২) নামের দুই বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ধর্ষিতা গার্মেন্ট কর্মী। মামলা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন বন্দরের কুড়িপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে গার্মেন্টে কাজ করে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারোখা গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের মেয়ে। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গার্মেন্টের ছুটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন। ভাড়া বাসার সামনে কুড়িপাড়া খাল পার এসে পৌঁছান। এ সময় ওই এলাকার আকবর আলীর ছেলে আরমান ও আবদুল জলিল মিয়ার ছেলে সগির গার্মেন্ট কর্মীকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই গার্মেন্ট কর্মী তার মা মহনারা বেগমকে বিষয়টি জানিয়েছেন। পরে মেয়েকে নিয়ে মা মহনারা বেগম ওই রাতেই বন্দর থানায় উপস্থিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ কুড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই বখাটেকে আটক করেন। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা মহনারা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আটক দু’জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টকর্মীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
সোনাইমুড়ীতে কিশোরীসোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: সোনাইমুড়ীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরী (১৬)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক মো. কাউসার (৩২) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। রোববার দুপুর ২টার দিকে আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষা করানোর জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বিহিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষিতা কিশোরী এবং সোনাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মো. কাউছার দুজনই স্থানীয় আল রাজি মেডিকেল সার্ভিসে চাকরি করেন। একই স্থানে চাকরি করার সুবাধে ১ বছর পূর্বে তাদের মধ্যে প্রেমের সমপর্ক গড়ে উঠে। ধর্ষক কাউছার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে মেডিকেল সেন্টারের এক্স-রে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক কাউছার সোনাইমুড়ী সেন্ট্রাল হসপিটালে নতুন চাকরিতে চলে আসে এবং ওই কিশোরীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। প্রতি সপ্তাহে শনি ও বুধবার ধর্ষক তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা তার মা ও পরিবারকে জানালে এবং কাউছারকে বিবাহের চাপ সৃষ্টি করলে ধর্ষক বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। গত ২০শে অক্টোবর ধর্ষক কাউছার কিশোরীকে ফোন করে তার বাড়ির সামনে থেকে রিকশাযোগে পালপাড়া মোশার বাড়ি নিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন সন্দেহ করে ধর্ষক কাউছারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার নাম ঠিকানা বলে এবং কিশোরীকে তার স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। এরই মধ্যে যাচাই-বাছাইকালে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে কিশোরীর বাড়িতে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক কাউছার ও ধর্ষিতা কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় কিশোরীর মা থানায় মামলা করেন। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ পিপিএম জানান, ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক কাউছারকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।