মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক আটক ৪ হাজার রিকশা রেকার বিল নিয়ে ফেরত দেয়া, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মতো বাই লাইন বাস্তবায়ন করা এবং পুলিশের নির্যাতন ও চাঁদাবাজি বন্ধকরণসহ ৩ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ রিকশা ভ্যান চালক শ্রমিক ফেডারেশন কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলার চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় বালুর মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফেডারেশনের কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মজুমদার বলেন, রিকশাচালকরা হচ্ছে সমাজের সবচেয়ে গরীব শ্রেণির শ্রমিক। ছেলে-সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে রিকশা চালায়। বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে একটি রিকশা ক্রয় করতে হয়। এসব রিকশা আটক করে বোলডেজার দিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু যারা ব্যাটারী চালিত এসব রিকশা আমদানি করে প্রকাশ্যে বিক্রয় করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
দ্রুত ৩ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় তারা পুনরায় আন্দোলন ও অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. জহির প্রমুখ। এ বিষয়ে হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে এসব রিকশা মহসড়কে চলাচলের কারণে আটক করা হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে আসলে মালিকানা যাচাই করে তা ফেরত দেয়া হবে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয়। এ ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’