মৌলভীবাজারের রাজনগরে অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষকের জমির গাছ কর্তন ও তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা বলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আব্দুল খালিক মাস্টার। তার বিরুদ্ধে আনা প্রতিপক্ষের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। রাজনগর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল খালিক মাস্টারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ। সোমবার বিকালে রাজনগর প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে আব্দুল খালিক মাস্টার বলেন, তার বাড়ি মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাঙ্গালিয়া গ্রামে। ফার্মেসি ব্যবসায়ী সেলিম আহমদ তার প্রতিবেশী। আব্দুল খালিক মাস্টারের ভাই আনিছুর রহমান মারা গেলে গত ৫ই সেপ্টেম্বর তার জানাজা ও দাফনের আয়োজন চলছিল। এ সময় আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার বিভিন্ন মানুষজন উপস্থিত হন।
এমন ব্যস্ততার সময় পাশের বাড়ির সেলিম আহমদ তার সীমানা প্রাচীরের পাশে আমাদের জমিতে লাগানো গাছ তিনি ও তার লোকজন দিয়ে কেটে নিয়ে যান। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাদের বাড়ির কেয়ারটেকারকে হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। জানাজায় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় আব্দুল খালিক মাস্টারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। সেলিম আহমদ জমি দখলের চেষ্টা করলে পরবর্তীতে আব্দুল খালিক মাস্টার বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা করেন। আদালত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, সব’কটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সতত্যা পেয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে রিপোর্ট দিয়েছেন।
এই প্রেক্ষিতে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও সেলিম আহমদের নির্দেশে গত ১৪ই অক্টোবর সকালে আবারো আমাদের গাছ কেটে নিয়ে যায় তার দলবল। এ ব্যাপারে ওইদিন রাজনগর থানায় আব্দুল খালিক মাস্টার আবারো লিখিত অভিযোগ দেন। আমরা দাঙ্গা-হাঙ্গামায় না জড়িয়ে আইন মান্য করি বলেই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তিনি বলেন, সেলিম আহমদ গত ১৪ই অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে আমি ও আমার বাবাকে জড়িয়ে রাস্তার জমি দখলের যে অভিযোগ এনছেন। তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের জমির মালিকানার যাবতীয় দলিলাদি রয়েছে। বরং আমাদের জমির গাছ কেটে নিয়ে ও জমি দখল করে তিনি সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি ও সম্মানহানী করে যাচ্ছেন। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল খালিক, বিশিষ্ট মুরব্বি হাজী আব্দুল কাদির, ইউপি সদস্য শামীম তরফদার, আব্দুর রব, আবুল কালাম আজাদ, মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো. ইমরান, সুন্দর মিয়া, আব্দুস সালাম, লেচু মিয়া, তারা মিয়া প্রমুখ।