সুধারামে প্রকাশ্য দিবালোকে সালিশ বৈঠকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হাতে কৃষক আমিন উল্যা খুনের সাড়ে ৭ মাসেও মূল আসামিরা ধরা পড়েনি। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সুধারাম মডেল থানার ১১নং নেওয়াজপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাহাদুরপুর গ্রামে গত ২ মার্চ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৫ শতাংশ ভূমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দফায় দফায় সালিশ বৈঠক হয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেও মধ্যস্ততায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার লক্ষে ২ মার্চ জমি পরিমাপের দিন ভিকটিমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেলিম বাহিনীর হাতে কৃষক আমিন উল্যাহ্ নির্মম নৃশংস ও বর্বোরোচিত ভাবে খুন হয়। ঘটনার সময় আবদুস সোবানের পুত্র সেলিমের নেতৃত্বে দিদার (২০), হৃদয় (১৯), বিবি মরিয়ম মায়া (৩৮), শিপন (২৫) ও কবিরহাটের পূর্ব রাজুর গ্রামের ছেনি তাজুসহ ভাড়াটিয়া ১ ডজন সন্ত্রাসী কৃষক পরিবারের ওপর আক্রমণ করে। তদন্তকারী আল মাহমুদ শরীফ জানায়, ছেনি তাজু, মায়া ও শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দোষিদের গ্রেপ্তারে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। ভিকটিমরা জানায়, বিবি মরিয়ম মায়া হত্যা মামলাকে ধামা চাপা দিতে আমাদের বিরুদ্ধে লুটের মামলা দিলে তা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। লোমহর্ষক হত্যা মামলার বাদী জানান, নিজ বাড়ির খুনের মামলার আসামিরা ঘরের মধ্যে অগ্নিসংযোগ করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টাও চালাচ্ছে।
সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেনের কারণে আমরা আগাম জিডি করে রক্ষা পাই।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে ময়নাতদন্তে মাথায় আঘাতের কারণে কৃষককে হত্যা করা হয়েছে বলে ডাক্তারদের বোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ সাড়ে ৭ মাসে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও চার্জশিট দাখিল করা হচ্ছে না।