দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। গতকাল শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারে বসানো হয়েছে ১৫তম স্প্যান। বেলা পৌনে ১ টার দিকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪-ই স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২ হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। পদ্মা সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গেল ১৪ই অক্টোবর স্প্যানটি জাজিরারচর থেকে ২৩-২৪ নম্বর পিলারের কাছে নেয়ার জন্য রওনা দেয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু পদ্মা অববাহিকায় নাব্য সংকটের কবলে স্প্যানটি নির্ধারিত পিলারের কাছে যেতে বিলম্ব হয়। পরিশেষে দীর্ঘ ৪ মাস পর সেতুর ১৫তম স্প্যানটি ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এ স্প্যান বসানোর পর সেতুতে আরো ২৬ টি স্প্যানটি বসানো বাকি রয়েছে।
এর আগে চতুর্দশ স্প্যান বসানো হয়েছিল গত ২৯ জুন। এ ব্যাপারে প্রকৌশলীরা জানান, বর্ষাকালে পদ্মা নদীতে প্রচুর পলি আসে। চ্যানেলে পলি জমে চ্যানেল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাই, স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নাব্য সংকটের কারণে চলতে পারে না। তাই স্প্যান বসানোর সিডিউল এভাবে নির্ধারণ করা হয়। ৪-ই স্প্যান ছাড়াও মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আরো ৫ টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। চারটি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে ও একটি চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিলারের কাছে রাখা আছে। এখন নিয়মিতভাবে আবার পিলারে স্প্যান বসানোর কাজ করা হবে।
জানা গেছে, সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। রেলওয়ে স্ল্যাব এর জন্য ২৯৫৯ টি প্রি-কাস্ট স্ল্ল্যাব প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে ২৮৯১ টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি স্ল্যাব আগামী নভেম্বরে তৈরি শেষ হবে। রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ৩৬১টি।
অন্যদিকে, ২৯১৭টি প্রি-কাস্ট রোডওয়ে ডেকস্ল্যাবের মধ্যে ১৫৫৩ টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫৪ টি স্থাপন করা হয়েছে। নদী শাসনের বাস্তব কাজের ৬৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। নদী শাসন কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।