গত শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের আলোতে মাঠে গড়ালো শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট। সেদিন চট্টগ্রামের সবচেয়ে জনপ্রিয় চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের কাছে ৪-১ গোলে হারলো মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব। বড় ব্যবধানে হারলেও ছন্দময় খেলা উপহার দিয়েছিল মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টস ক্লাব। একইভাবে পরের দিন সোমবার সন্ধ্যায়ও কলকাতার সবেচেয়ে সমৃদ্ধ ক্লাব মোহনবাগান এসি ২-১ গোলে হেরে যায় লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস এফসির কাছে। সেদিনও দু‘দল ছন্দময় খেলা উপহার দেন দর্শকদের। দুই খেলায় গ্যালারী জুড়ে দর্শকদের মাঝে উত্তেজনাও ছিল টান টান। তবে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল প্রত্যাশার চাইতে অনেক কম।
অথচ তৃতীয়বারের মতো মাঠে নামা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শক টানতে কতকিছুই না করছে আয়োজক সংস্থা চট্টগ্রাম আবাহনী।
আয়োজক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, টুর্ণামেন্ট সফল করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। এর মধ্যে দর্শক টানতে মাত্র ১০ টাকায় টিকেট বিক্রী করছি। খেলার আকর্ষণ বাড়াতে গণমাধ্যমও পাশে রয়েছে আমাদের। তবুও প্রায় ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এখনো উল্লেখ করার মতো দর্শক আসেনি। দর্শক টানতে শুরু থেকে আমরা চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে মাইকিং করেছি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্তও মাইকিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত দু‘দিনের খেলায় ১০ থেকে ১২ হাজার দর্শক এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এসেছিল। যাদের মাঝে ফুটবল নিয়ে চরম উদ্দীপনা দেখা গেছে। খেলার ছন্দে দর্শকরাও মেতে উঠেছে। প্রথমদিনে বড় ব্যবধানে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড জয়লাভ করায় চট্টগ্রামের দর্শকরা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। কারন ২০১৫ সালে টুর্ণামেন্টের প্রথম আসরে চ্যামিপয়ন হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় আসরে শিরোপা জিতেছিল মালদ্বীপের ক্লাব টিসি সেপার্টস। সে হিসেবে ঘরের ক্লাব মাঠে নামলে দর্শক সংখ্যা হয়তো আরো বাড়বে এই আশা করছি।
তিনি বলেন, তৃতীয় আসরে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড, বসুন্ধরা কিংস অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা আবাহনীর জায়গায় গোকুলাম কেরালা অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ভারতের মোহনবাগান এসি ও চেন্নাই সিটি এফসি, মালয়েশিয়ার টেরেঙ্গানু এফসি, মালদ্বীপের টিসি সেপার্টস ক্লাব ও লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস এফসি টুর্ণামেন্টে খেলছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই টুর্ণামেন্ট চলবে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড হলেও এটি এখন চট্টগ্রামবাসীর টুর্নামেন্ট। সবচাইতে বড় কথা এ টুর্নামেন্ট জাতির জনকের সন্তানের নামে। যেখানে আমাদের আবেগ জড়িত। এ টুর্নামেন্টের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাই টুর্নামেন্টটি সফল করতে হবে। তাছাড়া অতীতের দুই আসরের চেয়ে এবারের টুর্নামেন্টে খেলার মানও ভালো হবে। কারণ ভালো ভালো সব দল অংশ নিচ্ছে এবারের আয়োজনে। কাজেই মানসমপন্ন খেলা হলে দর্শক আসবেই।