নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দু’টিতে শোচনীয়ভাবে হারে প্রোটিয়ারা। রাঁচিতে তৃতীয় ও শেষ টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয় ফাফ ডু প্লেসির দল। ১৪ বছর পর ৩ টেস্ট সিরিজে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সবশেষ ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ালো ২৪০ পয়েন্ট। বাকি ৮ দল মিলেও ভারতের সমান পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জেতে ভারত।
দ্বিতীয়দিন বিকালে ২ উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা তৃতীয় দিনেই দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৬ উইকেট হারায়।
আর গতকাল চতুর্থ দিন সকালে মাঠে নেমে মাত্র ৯ মিনিট স্থায়ী হয় তাদের ইনিংস। দিনের প্রথম দুই ওভারে বাকি দুই ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে এক ইনিংস ও ২০২ রানে হারে সফরকারী দল। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৯৭/৯ এর রানের জবাবে ৫৬ ওভারে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে তারা। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৪৮ ওভার। প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল ডিন এলগার (১৬) দুই অঙ্কের কোঠা ছুঁতে পারেন। শূন্য রানে আউট হন প্রথম ইনিংসে রান পাওয়া জুবায়ের হামজা ও টেম্বা বাভুমা।
অধিনায়ক ডু প্লেসির সংগ্রহ ৪ রান। এক পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৩৫/৫। ২০১৫ সালে নাগপুরে ৭৯ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা উঁকি দিচ্ছিলো প্রোটিয়াদের। তবে জর্জ লিন্ডের ২৭ আর ডেন পিয়েতের ২৩ রানের সুবাদে ভারতের বিপক্ষে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহটা পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এনরিক নরতিয়েকে (৫*) সঙ্গী করে ম্যাচটাকে চতুর্থ দিনে নিয়ে আসেন থিউনিস ডি ব্রুইন (৩০)। গতকাল সকালে ভারতের অভিষিক্ত স্পিনার শাহবাজ নাদিম দিনের দ্বিতীয় ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সমাপ্তি টানেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ৩টি, শাহবাজ নাদিম ও উমেশ যাদব ২ উইকেট নেন। দ্বিশতকের জন্য ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজসেরা হন সিরিজে ৫২৯ রান করা রোহিত শর্মা।