× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লোহাগড়ায় ৪ বছর পর টনিক হত্যা রহস্য উন্মোচিত

দেশ বিদেশ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
২৩ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার

তদন্তকারী সংস্থা ও তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন এবং মামলার বাদীর অসহযোগিতায় কেটে গেছে চার বছর। অবশেষে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হাতে মামলা যাওয়ার অল্প সময়ে উন্মোচিত হয়েছে নড়াইলের লোহাগড়ায় চাঞ্চল্যকর আমিরুল ইসলাম টনিক হত্যা রহস্য। এই হত্যাকাণ্ডে টনিকের চাচাতো ভাইসহ চারজন জড়িত বলে তথ্য মিলেছে। গত ১৮ই অক্টোবর পিবিআইয়ের হাতে আটক হওয়া সজিব খান, পুলিশ ও আদালতের কাছে জবানবন্দি এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের নুরুল ইসলাম শেখের ছেলে আমিরুল ইসলাম টনিক (৩৬) গত ২০১৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে লোহাগড়া পৌর এলাকার মশাঘুনি গ্রামের নতুন বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। আহতের পর প্রতিবেশী শাহজাহান সাজু ও আবুল বাশার তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। টনিকের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। যশোর থেকে খুলনা, অতঃপর ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি বাঁচতে পারেননি। ওই বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহতের পিতা-মাতা, স্ত্রী ও বড়ভাই জীবিত থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনকভাবে চাচাতো ভাই আবু সাঈদ শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় চার বছরে ৫ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করলেও হত্যা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হন। অবশেষে মামলাটি গত আগস্ট মাস থেকে পিবিআই তদন্ত কাজ শুরু করেন। এ মামলায় গত ১৮ই অক্টোবর রাত পৌনে ১টার দিকে পিবিআই সদস্যরা উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের সবুর খানের ছেলে ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সজিব শেখকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। আটকের পর সজিব পুলিশেকে ওই হত্যাকাণ্ডের স্ববিস্তার বর্ণনা দেয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সেখানেও সে একই জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার দিন রাতে তারা চারজন টনিকের বাড়িতে হানা দিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ও জানালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। টনিকের চাচাতো ভাই ও এই মামলার বাদী আবু সাঈদের আপন ছোটভাই তূষারসহ তিনজন ঘরের ভেতরে যায়। সজিব তখন বাইরে পাহারায় ছিলেন। ঘরের ভেতরে আলমিরা খোলার শব্দ শুনে টনিক ঘুম থেকে জেগে চাচাতো ভাই তুষারকে চিনে ফেলে তার নাম ধরে ডাক দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তুষার তার মাথায় ছ্যানদা দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায়। অন্যরাও তুষারের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় টনিক গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের কিছুদূর ধাওয়া করেন। তুষার শেখ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য। তার নামে লোহাগড়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতিসহ, হত্যা, ধর্ষণ, চুরি ও ছিনতাইয়ের অন্তত ১ ডজন মামলা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের তকমা লাগিয়ে তুষারের সব অনৈতিক কাজের সহযোগিতা করেন তার ভাই দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শেখ। পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে এসআই শরীফুল ইসলাম ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করেন। এই কারণে দ্রুত মামলার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে এবং আসামি আটক করা গেছে। অভিযুক্ত সজিব খান শনিবার বিকালে নড়াইলের বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর