শায়েস্তাগঞ্জে ট্রেনের টিকেটে আবারও কালোবাজারীর থাবা পড়েছে। অনেক যাত্রী উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই কালোবাজারীদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। আর এ সুযোগে কালোবাজারীরা দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করছে।
সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন কালোবাজারীকে টিকেটসহ হাতেনাতে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে জেলসহ জরিমানা আদায় করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ভয়ে কিছুদিন টিকেট কালোবাজারীদের দৌরাত্ম্য কমে গেলেও আইনের ফাঁক-ফোঁকরে বেরিয়ে এসে তারা পুনরায় পুরো উদ্যোমে শুরু করেছেন।
রেল স্টেশনের একজন দায়িত্বশীল জানান, রেলওয়ের অসাধু কর্মচারি ও জিআরপি পুলিশ সদস্যরা কালোবাজারীদের এ অপকর্মে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিদিন শায়েস্তাগঞ্জ থেকে সিলেট-চট্টগ্রাম ও সিলেট-ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক আন্তঃনগর ট্রেনে হাজারো যাত্রী যাতায়াত করছেন। যাত্রীরা জানান, রেল কর্তৃপক্ষের বিধি মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্টারে লাইন দিয়েও টিকেট পাওয়া যায় না।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছার পর, টিকেট শেষ হয়ে গেছে বাক্যটি যাত্রীদের নিকট কোন নতুন শব্দ নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রেল কর্মচারি জানান, নির্দিষ্ট টিকেট বিক্রির দিনেই কালোবাজারীরা টিকেট কিনে নিচ্ছে। যার কারণে দূরদুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা কাউন্টারে এসে টিকেট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রেল কর্তৃপক্ষ শায়েস্তাগঞ্জ-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকেট বরাদ্ধ দেয়া হয় না। কিন্তু এর মধ্যে খুবই নগণ্য সংখ্যক যাত্রী কাউন্টার থেকে টিকেট ক্রয় করতে পারেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী আসনবিহীন টিকেট ক্রয় করেন, আর যাদের অতিরিক্ত মূল্যে টিকেট ক্রয়ের সামর্থ্য আছে তারা কালোবাজারীর কাছ থেকে ক্রয় করেন।