কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বুধবার ভোরে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ঢাকাস্থ কাঁচামাল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান (৩৫)কে কুপিয়ে হত্যা করে তার চাচাত ভাই আল আমিন গং। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরো ৩ জন মারাত্মক জখমের শিকার হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত হাবিবুর রহমান করগাঁও ইউনিয়নের ভাট্টা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, করগাঁও ইউনিয়নের কুখ্যাত গরু চোর আল আমিন গং রাতের আঁধারে সিঁদ কেটে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাবিবুর রহমানের ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ভাগলপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনা দেখে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার চিৎকার শুরু করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং আশেপাশের ঘর থেকে হাবিবুরকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে বাইরে অবস্থানরত দুর্বৃত্তরা তোফা চান (৩০) ও জুনায়েদকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করে। মারাত্মক জখম হওয়া হাবিবুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তারকে ঢাকায় এবং তোফাচানকে ভাগলপুর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, ৮-১০ জনের একদল নানারকম দেশি অস্ত্র নিয়ে সিঁদ কেটে হাবিবুরের ঘরে প্রবেশ করে এবং কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাইরে পাহারা দেয়।
করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত লস্কর পারভেজ জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। কটিয়াদী মডেল থানার সদ্য যোগদানকারী ওসি এমএ জলিল বলেন, সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি ও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।