নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং কমান্ডার ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সহ ১২ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বেগমগঞ্জ পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে একলাশপুর থেকে কিশোর গ্যাং মামা বাহিনী কমান্ডার, জয়কৃষ্ণপুর থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, হাজিপুর থেকে খুন সহ ডাকাতির মামলার আসামিসহ ১২ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ হারুন-অর-রশিদ মানবজমিনকে জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে বেগমগঞ্জ থানার একলাশপুর থেকে কিশোর গ্যাং মামা বাহিনীর কমান্ডার জনি ওরপে মামা জনি ওরপে সন্ত্রাসী জনি (২৪), পিতা- বাবু কে লাল মিয়া কাজী বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার দখল থেকে ১টি লাইটগান ও ১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে থানার সাব ইন্সপেক্টর বাবর আলী বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনের ১৯/এ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। একই রাতের অভিযানে পুলিশ থানা এলাকায় জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গোলাম মাওলা মিরাজকে হাজিপুরের ডাকাতি ও খুনের মামলায় আসামি জহির (২৪)কে হাজিপুর মুরাদ মেস্ত্রীর বাড়ি থেকে এবং থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রাপ্ত আরো ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল তাদের নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গাঢাকা দিয়ে কিছু দিন থেকে তারা আবার মাঠে বেরিয়ে এসে চুরি, ছিনতাই, মাদক, ব্যবসা, নারী ব্যবসা ও জিম্মি করে অর্থ আদায়ের মত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এ কিশোর গ্যাং এতই ভয়াবহ যে ১৫ দিনে জেলা শহরে দ্রুত বিচারে ৩টি মামলা করেও পুলিশ তাদের তৎপরতা থামাতে হিমসিম খাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানার ওসি জানান, একলাশপুরের কিশোর গ্যাং-এর অনিক বিদেশে পালিয়েছে। তার গ্রুপের অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নবীর হোসেন মানবজমিনকে জানান, জেলা শহরেই ৩টি দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যরা পালিয়েছে।
াইজদী শহর এখন শান্ত। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, কিশোর গ্যাং হোক আর যুব গ্যাং হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।