× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরাদ্দ এলেও থমকে আছে চিলমারীর উন্নয়ন

বাংলারজমিন

মো. সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে
২৪ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

আসে সরকারি বরাদ্দ, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয় উন্নয়ন। উন্নয়নের ধারা এগিয়ে গেলেও তা থমকে দাঁড়ায়। মাস যায়, যায় বছরের পর বছর প্রতি বছরেই আসে কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ আর প্রকল্প। কাজের ধারায় যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা উন্নয়নের কিন্তু বারবার বন্যা আর ভাঙনে আর অনিয়মের কারণে তা থমকেই দাঁড়িয়ে থাকে। সঠিক পদক্ষেপের অভাবকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ উন্নয়ন হচ্ছে বিভিন্ন জেলা উপজেলার। পিছিয়ে নেই চিলমারী। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে বন্যা, ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন দুর্যোগ আর অনিয়ম।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি), এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, ননওয়েজ, পুকুর খনন, সংস্কার, মাছ চাষসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলার মতো চিলমারী উপজেলাকে এগিয়ে নিতে বরাদ্দ দেয় সরকার। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ভবন, সড়ক ব্রিজ নির্মাণ, সোলার প্লান, শহর, গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক সফলতা অর্জনের সাথে সাথে এগিয়ে যায় চিলামারী। কিন্তু সঠিক টেকসই পদক্ষেপ না নেয়ায় আবারো পিছিয়ে পড়ে চিলমারী। বারবার বন্যা, ভাঙন আর বিভিন্ন দুর্যোগ আটকে দেয় উন্নয়নের চাকা। আবারো থমকে দাঁড়ায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও (২০১৮-১৯) অর্থবছরে বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অধীনে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ভবন, রাস্তা, ব্রিজ, সোলার, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ, সংস্কার, ব্রিজ, কালভাট, আশ্রয়ণকেন্দ্র, পুকুর খনন, বিনা মূল্যে মাছ চাষে চাষিদের সাবলম্বীকরণ, কৃষি দপ্তর থেকে বিনা মূল্যে সার বীজ বিতরণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চিলমারীকে নেয়া হয় এগিয়ে। বিগত বছরের ন্যায় চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যা, আর ভাঙন ভেসে ও ভেঙে নেয় বিভিন্ন সড়ক, রাস্তা ঘাট, ব্রিজসহ বিভিন্ন স্থাপনা ফলে আবারো থমকে দাঁড়িয়েছে চিলমারী। আটকে গেছে উন্নয়নের চাকা। তবে এর জন্য কর্তৃপক্ষের সঠিক পদক্ষেপ নেয়াসহ সততার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান এলাকার সচেতন মহল। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন জানান, আমরা দেখছি প্রতি বছর চিলমারীর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কাজও করে সরকার। কিন্তু কাজ শেষ হওয়া েপরপর এই এলাকায় শুরু হয় ভয়াবহ বন্যা। এছাড়াও ভাঙন তো আছে। ফলে প্রতি বছর কাজ হলেও তা বন্যার পর আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে আর দাঁড়িয়ে যায় উন্নয়নের চাকা। জোড়গাছ খড়খড়িয়া এলাকার বুলেট, আলমঙ্গিরসহ অনেকে জানান প্রতি বছর রাস্তার মাটি সরে যাওয়া আর ভেঙে যাওয়ার মূল কারণ হলো সঠিক পদ্ধতি হাতে না নেয়া আর বন্যা সহনশীল পদক্ষের না নেয়া। তবে কাজের মানকেও নিম্ন বলেও দাবি করেন এলাকার মানুষজন। ব্যবসায়ী আঃ মজিদ বলেন রাস্তায় শুধু মাটি কাটলেই কি হয় তা টেকসই এর ব্যবস্থা না নিয়ে তো বৃষ্টি আর বন্যায় নষ্ট হবেই। এব্যাপারে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন চিলমারী উপজেলাটি একটি ভাঙন, বন্যা কবলিত এলাকা। তিনি আরো জানান এবারে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল পুরো চিলমারী তলিয়ে গিয়েছিল। এই বন্যায় শুধু কাঁচা সড়ক নয় বেশ কিছু পাকা সড়ক, রেল লাইন, ব্রিজ কালভাটও ভেঙে ভেসে যায়। তবে আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে থাকবেনা চিলমারী তাই আমরা সঠিক পদক্ষেপ বের করে চিলমারীকে এগিয়ে নেয়ার বিষয় ভাবছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর