মির্জাগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ টিনশেড ঝুপড়িঘরে চলছে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই। এমন বেহাল দশা উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ময়দা দাখিল মাদ্রাসার। এর ফলে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। জরাজীর্ণ ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাচ্ছে। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে শিক্ষা মাদ্রাসাটি স্থাপিত এবং ১৯৮৬ সালে এমপিওভুক্ত হয়। মাদ্রাসাটিতে ১৩ জন শিক্ষক এবং ২২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্মাণের পরে পাকা ভবন তো দূরের কথা কোনোরকম সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ও ফণির আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাদ্রাসাটি। বর্তমানে ১০টি শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চলছে একটি জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে। যার ফলে নড়বড়ে ও নাজুক অবস্থা। অধিকাংশ টিন মরিচা পরে নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে ক্লাস চলাকালীন সময় বৃষ্টির পানিতে বই, খাতা, ব্যাগ ভিজে যায়। এমন অবস্থার মধ্যেই তাদের ক্লাস করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলা আঃ ছত্তার মাহমুদি বলেন, মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ১০টি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত রয়েছে। বৃষ্টির দিনে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে পাঠদানে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাকা ভবনের জন্য আবেদন করছি। বছরের পর বছর পার হলেও নির্মিত হয়নি মাদ্রাসা ভবন। মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ নাজমুল হুদা জানান, মাদ্রাসার টিনশেড ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয়। শিক্ষার্থীদের পাঠদান সুবিধার্থে নতুন ভবন একান্ত আবশ্যক। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কাজী সাইফুদ্দীন ওলিদ বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হবে।