× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধর্ষণ

বাংলারজমিন


২৪ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

রায়পুরে মাদ্রাসাছাত্রী
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: রায়পুরে চতুর্র্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাসুদ গোলদার নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলা দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে  থেকে আটক করা হয়। আটককৃত যুবক একই গ্রামের জাকির গোলদার ছেলে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে চর এলাকার নির্জন জায়গায় বখাটে মাসুদ গোলকার ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাতেই মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় আল জামিয়া মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। সে প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে চর এলাকার নির্জন জায়গায় বখাটে মাসুদ গোলকার ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক মাসুদ পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা দ্রুত মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় কাদা মাখা পোশাকসহ উদ্ধার ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয় নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের পরামর্শে থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ,ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাসুদ গোলদার নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সুনামগঞ্জে ৩ শিশু
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলায় ২ শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা ও ধর্মপাশা উপজেলায় এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে বখাটে টিটু মিয়া মারধর করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এক ধর্ষককে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন গ্রামে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় একই গ্রামের মৃত কুতুব উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হেকিম (৪৫)। এ সময় মেয়ের মা ইঙ্গিত পেয়ে দৌড়ে এসে মেয়েকে রক্ষা করেন। তারপর মেয়ের মা চিৎকার করতে লাগলে আব্দুল হেকিম পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হয়। ধর্মপাশা উপজেলার নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর দুয়েক সময় ধরে বখাটে টিটু ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। পরে টিটু তার পরিবারের লোকজনকে দিয়ে ছাত্রীর পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শরিশ্যাম গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় বখাটে টিটু মিয়া ওই ছাত্রীকে মারধর করে। আহতাবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে বিকেল ৪টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, তাহিরপুর উপজেলায় ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ উপজেলার মানিগাঁও গ্রামের সেলিম মিয়া ছেলে ধর্ষক উদয়ন হোসেনকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ধর্ষক শিশুটি গ্রামের পাশে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসলে প্রথমে বাদাঘাট বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসে। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

বাউফলে মাদ্রাসাছাত্রী
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বাউফলে মাদ্রাসায় পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে  বাউফল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণকারী ওই ব্যক্তি হলেন- বাউফল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্ধা আফতাব সরদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক মানিক সরদার(৪১)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে উত্তর দাশপাড়া দাখিল মাদ্রসার ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে মামা বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময়ে ধর্ষক মানিক ফুসলিয়ে  তাকে স্থানীয় মোস্তফা নামের এক ব্যক্তির রান্না ঘরে নিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা জানার পরে ওই রাতেই ধর্ষিতার বাবা শাহজাহান খান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (৯ক) ধারায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খন্দোকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ধর্ষক মানিককে গ্রেপ্তার করে গতকাল বুধবার সকালে পটুয়াখালী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

মাধবপুরে কিশোরী
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর রাতে ধর্ষক আলম মিয়া (২৫) ও তার সহযোগী ফয়জুর রহমান (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরদিকে দুপুরে  ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান নাঈম  জানান, মাধবপুর পৌর শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকার এক কিশোরী ২১শে অক্টোবর রাত প্রায় ১২টার দিকে তার বাবার ঘর থেকে বের হয়ে দাদার ঘরে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার পূর্ব মাধবপুর এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া ও ফায়ার সার্ভিস এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ফয়জুর রহমান ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে ফয়জুর রহমানের সহযোগিতায় আলম মিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায়  ধর্ষিতা নিজেই বাাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর