দক্ষিণ সুরমাবাসীর আল্টিমেটামের মুখে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো সিলেটের কীনব্রিজ। এখন থেকে কীনব্রিজ দিয়ে রিকশাসহ হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে- কোনো ইঞ্জিনচালিত যান চলাচল করতে পারবে না। মঙ্গলবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই কীনব্রিজ খুলে দেয়া হলো। তবে- দক্ষিণ সুরমার মানুষ জানিয়েছে- কীনব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার সিলেট সিটি করপোরেশনের নেই। জোরপূর্বক সেটি করা হয়েছিল। তারা বলেন- এই ব্রিজের মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব জানিয়েছেন- ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে, রিকশা, বাইসাইকেল এবং ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচলের জন্য ব্রিজ খুলে দেয়া হয়েছে।
সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল এ ব্রিজ দিয়ে বন্ধ থাকবে। সিলেটের ঐতিহাসিক এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে অবস্থায় থাকায় যান চলাচলে দেখা দেয় ঝুঁকি। এমতাবস্থায় সংস্কারের জন্য গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট নগরীর কিনব্রিজে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। সংস্কার কাজ করার জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগ মিলে ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখে।
এদিন মধ্যরাতেই সিলেটের ঐতিহাসিক এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল রুখতে লোহার তৈরি বেড়ি স্থাপন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ফলে এই ৫২ দিন পায়ে হেঁটে সেতুটি পারাপার হন পথচারীরা। এরই মধ্যে গত ৮ই অক্টোবর বুধবার রাতে ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডবাসী তাদের সন্তানদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সিলেট নগরীর প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার দাবিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এমপির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরে এলাকার মানুষ সমাবেশ করে সিটি করপোরেশনকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দাদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।