× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাবিপ্রবিতে ছাত্র-শিক্ষিকা যৌন কেলেংকারির ভিডিও ভাইরাল!

শিক্ষাঙ্গন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ২, ২০১৯, শনিবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ  দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকার যৌন  কেলেংকারির ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বত্রই বইছে নিন্দার ঝড়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাক এবং সুশীল সমাজ।  

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যে শিক্ষকদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি’তে ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠেছে। তা অনেক আগের বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।


এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক দীপক কুমার সরকার এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক রমজান আলীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, মানসিক নির্যাতন ও অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ প্রদান, মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ, অনশন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে একাংশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এছাড়া যৌন কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবিতে আমরণ অনশনও করেছেন শিক্ষকরা। এমনকি কয়েকজন শিক্ষক এর প্রতিকার চেয়ে পদত্যাগও করেন। এ নিয়ে সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন নারী ও সামাজিক সংগঠন আন্দোলনও করেছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছাত্রের সঙ্গে সদ্য চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষিকার যৌন কেলেংকারির ঘটনাটি অনেক আগের বলে দাবি করছেন অনেকে। ২০১৫ সালের বলে তাদের দাবি। ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র নারী-পুরুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের ব্লাক মেইলিং করা হয়েছে। জিম্মি করে ছিনতাই করা হচ্ছে তাদের সর্বস্ব।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই শিক্ষার্থী সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষিকার সঙ্গে একই সঙ্গে পড়তো। আর চাকুরি পাওয়ার পর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র শিক্ষার্থীর। মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালকারীর বিরুদ্ধে তিনি শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।

তবে এ বিষয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বলরাম রায়ের অভিযোগ, এতো প্রতিবাদ ও আন্দোলনের পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর আগে যৌন কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তারা এখনও বহাল তবিয়তেই আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনক (ইউজিসি) কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিঠি প্রদান করেছেন ।

বিষয়টি নিয়ে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে তিনি জানান, যৌন কেলেংকারিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বর্তমান অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিসি জানান। তবে একটি স্বার্থন্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন বলে ভিসি প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের দাবি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর