× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনে নাবালকদের ওপর ভিডিও গেম খেলায় কারফিউ জারি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ৭, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন

নাবালকদের ওপর তৈরি অনলাইন গেম খেলার ওপর কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছে চীন সরকার। ঘোষণা অনুসারে, ১৮ বছরের কমবয়স্কদের রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত গেম খেলা নিষিদ্ধ করা হবে। কর্মদিবসগুলোয় গেম খেলার সময়সীমা ৯০ মিনিটে সীমিত করে দেয়া হবে। আর সপ্তাহান্ত ও ছুটির দিন গুলোয় সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার জন্য গেম খেলা যাবে। দেশজুড়ে ভিডিও গেমের প্রতি আসক্তি কমানোর লক্ষ্যে এমন  পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন সরকার। কর্মকর্তাদের দাবি, অতিরিক্ত গেম আসক্তি শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গেম বাজার হচ্ছে চীন। মঙ্গলবার দেশটির অপ্রাপ্তবয়স্কদের গেম খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুসারে, ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সীরা প্রতি মাসে গেম খেলায় সর্বোচ্চ ২৯ ডলার খরচ করতে পারবে। ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা সর্বোচ্চ ৫৮ ডলার খরচ করতে পারবে।
চীন সরকার ইতোপূর্বে বহুবার ভিডিও গেমসের সমালোচনা করেছে। বলেছে, অতিরিক্ত গেম খেলায় অল্প বয়সীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ২০১৮ সালে শিশুদের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি কমার হার বেড়ে গেলে ‘গেমিং নিয়ন্ত্রক’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় সরকার। ওই নিয়ন্ত্রকের কাজ হবে অনলাইনে গেম খেলার শিশুদের সময় ব্যয় কমানো, গেম খেলার সময়সীমা সীমিত করা ও বয়স-ভিত্তিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা। ওই বছর নতুন ভিডিও গেম তৈরিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল চীন। তবে নয় মাস পর অর্থনৈতিক ক্ষতি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেয়া হয়।
নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্বজুড়ে সকল চীনা অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মের ওপর আরোপিত হবে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে একটি পরিচয় সনাক্তকরণ সিস্টেম চালু করবে চীনা প্রশাসন। ওই সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই করতে পারবে গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলো।
ভিডিও গেমস কতটুকু ক্ষতিকর?
গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গেমিং আসক্তিকে (গেমিং ডিজঅর্ডার) প্রথমবারের মতো একটি মানসিক সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কিছু দেশে মাত্রাতিরিক্ত গেম খেলাকে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য ইস্যু হিসেবে দেখা হয়। বহু দেশে গেম খেলার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি কমাতে বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর