× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ড রায়ে খুশি নয় তবে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে না

এক্সক্লুসিভ

কলকাতা প্রতিনিধি
১০ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার

অযোধ্যার ভূমি বিবাদ নিয়ে দেয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মোটেই খুশি নয় মামলার অন্যতম আবেদনকারী সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ড। বোর্ডের আইনজীবী জাফারিয়াব জিলানি বলেছেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান করছি, কিন্তু আমরা মোটেই খুশি নই। এই রায়ে অসংখ্য পরস্পরবিরোধিতা রয়েছে। আমরা এই রায়ের রিভিউ আবেদন জানাবো। তবে জিলানি জাতির কাছে শান্ত এবং শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। অবশ্য পরে এদিন বিকালে উত্তরপ্রদেশে সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানাচ্ছি। রায় মাথা পেতে নিচ্ছে বোর্ড। উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ড ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে না।
একই কথা বলেছেন বোর্ডের আইনজীবী সাহিদ রিজভি। এই মামলায় সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ড ছাড়াও মুসলিমদের তরফে ছিলেন জনৈক  মোহাম্মদ ইকবাল আনসারী, এম সিদ্দিকী (বর্তমানে মৃত) এবং কেন্দ্রীয় শিয়া ওয়াক্‌ফ বোর্ড। বিতর্কিত জমি এবং  ভেতরের অংশ অন্যপক্ষকে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে জাফারিয়াব জিলানি বলেছেন, সমস্ত জমি অন্য পক্ষকে দেয়া ঠিক নয়। আমরা শীর্ষ আদালতকে সম্মান জানাই, আমাদের রায়ের সঙ্গে সহমত না হওয়ার অধিকার আছে। অনেক মামলাতেই রায় পাল্টেছে শীর্ষ আদালত। পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানোয় আমাদের অধিকার রয়েছে। মামলায় সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ডের যুক্তি ছিল, বিতর্কিত স্থানে কোনো মন্দির বা কাঠামো ভেঙে মসজিদ করা হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে আর্কিলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। রিপোর্টে কারও স্বাক্ষর ছিল না। ফলে কে ওই সব তথ্য বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন তা অজানা। তবে ১৯৪৯ সালে প্রথম মসজিদের কেন্দ্রীয় গম্বুজের নিচে রামলালার মূর্তি রাখা হয়েছিল।  বোর্ডের আরো যুক্তি ছিল, বিতর্কিত জায়গাটি রামের জন্মস্থান নয়। আর সেখানে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল মুঘল সম্রাট বাবরের আমলে। বোর্ড আরো জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় গম্বুজে রাখা রামলালার মূর্তিতে পূজার কোনো প্রমাণ নেই। বরং পূজা হতো মসজিদের বাইরে রাম চবুতরায়। হিন্দুদের পক্ষ থেকে ভ্রমণকারীদের সূত্র এবং গেজেটিয়ারের যে সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা অসম্পূর্ণ এবং কারোর সঙ্গে কারোর মিল নেই। তবে সব গেজেটিয়ারেই বিতর্কিত স্থানে মসজিদের কথাই বলা হয়েছে। কোথাও রামের জন্মস্থানের কথা বলা হয়নি। মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডও এদিনের রায়ে খুশি নয় বলে জানিয়েছে। সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য যে জমি দেয়ার কথা বলা হয়েছে তা মুসলিমদের প্রত্যাখ্যান করা উচিত। তবে  দিল্লির জামে মসজিদের ইমাম সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর