× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার

ভারতের বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) সংস্কৃত বিভাগে এক মুসলমান শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিএইচইউ কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভাইস চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে স্বচ্ছ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীদেরই এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উভয়ের ক্ষেত্রেই সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ গঠনের জন্যই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএইচইউ’র সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান অনুষদের সাহিত্য বিভাগে সম্প্রতি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ফিরোজ খান নামে এক শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই নিয়োগের বিরোধিতা করে ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়ির পাশে একদল শিক্ষার্থী অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে। তাদের দাবি, ওই নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

পুনিত মিশ্র নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, বিএইচইউ’র প্রতিষ্ঠাতা মদন মোহন মালভিয়ার মূল্যবোধ রক্ষার্থেই এই আন্দোলন। তার দাবি, সংস্কৃত অনুষদে পাথরে খোচাই করে লেখা আছে যে, এই অনুষদে কেবল হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ ও আর্য সমাজের অনুসারীরা প্রবেশ করতে পারবে। তার বক্তব্য, আমরা ওই মুসলিম শিক্ষকের বিরোধিতা করছি না।
আমরা শুধু মহামনা মালভিয়ার মূল্যবোধকে সমর্থন করছি। লড়াই করছি।

আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন শুভম তিওয়ারি নামে এক পিএইচডি গবেষক। তিনি বলেন, সংস্কৃত অনুষদে একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করে। তিওয়ারি বলেন, যখন একজন ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনি ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষকতা করবেন। এতগুলো বছর বহু শিক্ষার্থী শিখতে আসবে। তাদের ভবিষ্যৎ এভাবে একেবারে নষ্ট করে দেয়া হলো।
তবে সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাম নারায়ণ দ্বিবেদি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিএইচইউ’র বহু শিক্ষার্থী ও সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারীরা আন্দোলনকারীদের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর