× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাইক্রোবাসে বাস-ট্রাকের ধাক্কা, আগুন, দগ্ধ হয়ে নিহত ৩

অনলাইন

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১০, ২০১৯, রবিবার, ১২:২৫ অপরাহ্ন

কুমিল্লার চান্দিনায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি মাইক্রোবাসে আগুন লেগে ঘটনাস্থলে শিশুসহ ৩ জন পুড়ে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন। আজ  ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনার গোবিন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে শিশু রবজা (৭) এর পরিচয় পাওয়া গেছে। রবজা কুমিল্লার অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে। বাকি ২ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী বলে ধারণা করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন, নিহত শিশু রবজার মা হালিমা বেগম (৪৫), কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৮), সজিব (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ও বলরামপুর এলাকার মজনু মিয়া (৫০)। তাদের শরীরের সকলের ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় যাত্রী উঠানোর জন্য থামে। এ সময় পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
সঙ্গে সঙ্গে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের ওপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা কয়েকজনকে উদ্ধার করি এবং ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি।

অপর প্রত্যক্ষদর্শী বশির ভূইয়া জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি করে লোকাল যাত্রী যাতায়াত করে। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে আমরা জানতে পারি।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি জানান, আমরা এসে ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই এবং শিশুসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করি। এর আগে আরও ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিনকে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আহত হালিমার ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেম এর ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিন এর ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

এছাড়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহতাবস্থায় সজিব ও মজনুকে সরাসরি কুমেকে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, নিহতদের মধ্যে একজন কন্যা শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর