× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অস্ট্রেলিয়ায় বুশফায়ার, ৩ জনের প্রাণহানি

অনলাইন

অবনী মাহবুব, অস্ট্রেলিয়া থেকে
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১১, ২০১৯, সোমবার, ৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

গত কয়েক দিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস আর কুইন্সল্যান্ডের প্রায় ৬৪ টি জায়গায় ঘন বনাঞ্চলে ‘বুশফায়ার’ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে যে প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা যার মধ্যে অনেক বসত বাড়িও রয়েছে , এই অদম্য আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। এই মুহূর্তে আগুনে পুড়ছে প্রায় ৯ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি বন। এখন পর্যন্ত ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, অসংখ্য বন্য প্রাণী প্রাণ হারিয়েছে আর ঝুঁকিতে রয়েছে আরো অনেকে। বুশফায়ার প্রভাবিত অঞ্চলে বসবাসরত কয়েকজন নিখোঁজ থাকলেও পরে তাদেরকে খুঁজে পেয়ে স্বস্তির নিঃশাস ফেলেছে উদ্ধার কর্মীরা।
এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক ও বিপদজনক বুশফায়ার এর তালিকায় স্থান পেয়েছে এবারের বুশফায়ার। পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার সরকার এবং সাধারণ জনগণ যথেষ্ট সচেতনতার পরিচয় দিয়ে এসেছেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া, বৃষ্টি শূন্যতা , অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও শুষ্ক আবহাওয়ার আর দ্রুত গতিবেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারণে এরকম বড় ধরণের দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে এই দুটি প্রদেশ, অন্য প্রদেশেও বুশফায়ারের আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী যে আবহাওয়ার অতিরিক্ত মাত্রায় উষ্ণ হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায়ও তারই ফলশ্রুতিতে পরিবেশ এখন ক্ষতির সম্মুখীন।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে ১২ই নভেম্বর থেকে এই দুই প্রদেশের অনেক বনাঞ্চল ও আসে পাশের বসতিগুলোকে খুবই শঙ্কটাপূর্ণ অবস্থায় থাকবে বলে সরকার থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শুধু কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে ৫০ টির বেশি জায়গায় আগুন জ্বলছে, এই অঞ্চলে গত দুই মাসে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরতে দেখা গেছে যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় সরকার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা শনাক্ত করে এলাকাবাসীদের আগে থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে। ফায়ার ও ইমার্জেন্সি সার্ভিস অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে, আগুনে আটকে পড়া মানুষদেরকে উদ্ধার করতে হেলিকাপ্টার দিয়ে আর অন্যান্যভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনীও।
আজ সকালে ব্রিসবেন ও গোল্ডকোস্ট বাসীরা তাদের শহরে বুশফায়ার না হওয়া সত্ত্বেও বাতাসে ধোঁয়ার আস্তরণ পড়তে দেখেছেন। বিজ্ঞান অধিদপ্তরের তত্থ অনুযায়ী ব্রিসবেনে বাতাসের গুণগত মানকে স্বাস্থ্যের জন্যে অতিরিক্ত মাত্রায় ঝঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অবস্থা এতোই খারাপ যে বেইজিংয়ের বাতাসের মানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। এই ধোয়া মিশ্রিত বাতাসে শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে বলে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আজকের আকাশে যে ধোঁয়ার চাদর দেখা যাচ্ছে তা হয়তো আগামী ৩/৪ দিনেও পরিষ্কার হবে না বলে আশংকা রয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনসাধারণকে আগামী ৪৮ ঘন্টায় নিজ নিজ বাসায় দরজা জানালা বন্ধ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাতাসের দিক পরিবর্তন হয়ে উত্তর পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হতে শুরু করলে এই ধোঁয়া সরে যাবে বলে আশাব্যাক্ত করেছেন। জীবনের ঝুঁকি এড়াতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে আগুন প্রভাবিত জায়গাগুলোতে ১০০টির বেশি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার থেকে জনগণকে সচেতন ও নিরাপদ রাখার জন্যে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর