× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ!

শিক্ষাঙ্গন

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৩, ২০১৯, বুধবার, ৪:০০ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মাদারেরপাঠ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ সহকারী শিক্ষক শ্রী খগেন চন্দ্রকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুর্নীতিবাজ ওই সহকারী শিক্ষককে দায়িত্ব না দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের বিদায়ী প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত এবং অভিভাবক ও স্থানীয়রা মৌখিক আবেদন করেন। এরপরেও তিনি গায়ের জোরে দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

লিখিত অভিযোগে জানানো হয়, সহকারী শিক্ষক শ্রী খগেন চন্দ্র ইতি পুর্বে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা কালে ৫০টি ভুয়া কার্ড তৈরি করে বছরের পর বছর উপবৃত্তির টাকা আতœসাত করেছেন। অন্য শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাশ করলেও শ্রী খগেন চন্দ্র ক্লাশ করান না। এতে ব্যহত হচ্ছে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের পড়া লেখা। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষা উপকরণ, তৈজসপত্র, পিতলের বেল সকলের অগোচরে বাড়ীতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে তথ্য বেরিয়ে আসলেও তিনি সেগুলো ফেরত দেননি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া স্কুল ফিডিং কর্মসুচীর বিস্কুট প্রতিদিন বাড়িতে নিয়ে যান বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার মিছিল মিটিং হলেও এর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনিক ভাবে। একাধিক পত্র-পত্রিকায় শিক্ষক শ্রী খগেন চন্দ্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে অফিস কর্তৃক শুধু শাস্তি স্বরুপ তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে। তাও আবার বেতন চালু করে দেন শিক্ষা অফিস।

গত ১৯শে জুন ২০১৬সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে মাহমুদা বেগম ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। কিন্তু অতি সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম বদলী হলে আবারও দায়িত্ব নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগেন শ্রী খগেন চন্দ্র। তিনি বিদ্যালয়ের অনলাইন তথ্য প্রদান সিস্টেম ই-প্রাইমারীতে অবৈধভাবে বাইরের দুইজনকে অর্ন্তভুক্ত করেছেন। ফলে বিদ্যালয়ের দুইজন বৈধ শিক্ষক এখন পর্যন্ত ই-প্রাইমারী সিস্টেমে অর্ন্তভুক্ত হতে পারেন নাই। এলাকার মানুষের জনমনে প্রশ্ন কেনো শ্রী খগেন চন্দ্রকে অন্যত্র বদলি করা হচ্ছেনা আমরা এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাই।

এ বিষয়ে শ্রী খগেন চন্দ্রের সঙ্গে আজ বুধবার সময় স্কুলে দেখা করতে গেলেও তার দেখা মেলেনি। এমনকি তিনি দৈনিক হাজিরা খাতায় সই পর্যন্ত করেননি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আখতারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ আমি পাইনি, মৌখিক ভাবে শুনেছি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর