প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের সেই ঘরে আর থাকা হলোনা বৃদ্ধ শুকুর দেওয়ানের। ঘরটি প্রশাসনের পক্ষথেকে হস্তান্তরের আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’। বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালী গ্রামে আশ্রয়াদাতা শাহজান গাজীর ঘরে তার মৃত্যু হয়।
ছেলের প্রতারনায় সর্বহারা হয়ে গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেয় এই বৃদ্ধ শুকুর দেওয়ান ও তার স্ত্রী সহুরা বেগম। এনিয়ে গত ২৫ অক্টোবর দৈনিক মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রীর নজড়ে পরে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বৃদ্ধ এই দম্পত্তিকে ঘর ও জমি দেয়ার জন্য স্থানীয় সাংসদকে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একদিনের মধ্যেই শুরু হয় ঘরের নির্মণ কাজ। বর্তমানে ঘরটির নির্মণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। দু’একদিনে মধেই প্রধাণমন্ত্রীর উপহারের এই ঘরটি শুকুর দেওয়ান ও সহুরা বেগমকে হস্তান্তরের কথা ছিল।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেই ঘরে আর থাকা থাকা হলোনা হতভাগা সত্তর বছর বয়সী এই বৃদ্ধ শুকুর দেওয়ানের। শুকুর দেওয়ানের মৃত্যুতে এখন পুরো একা হয়ে যাবে তার স্ত্রী সহুরা বেগম। স্বামীর মৃত্যুকে কোনভাইবেই সমাল দিতে পারছেননা সহুরা।
শুকুর দেওয়ানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব, রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমান ও রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো.জোবায়ের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রুবেল, সিনিয়র সাংবাদিক মু.জাবির হোসেন ও বিভিন্ন রাজনৈক,সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।