রূপগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকালে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় কমপক্ষে ৭ ব্যক্তি আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধাদান ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের দায়ে পাঁচজনকে আটকের পর সাজা প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিচ্ছিন্ন করা হয় অন্তত ৫ হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ। বুধবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার মৈকুলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার জাফরুল আলম জানান, তিতাস গ্যাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের লক্ষ্যে রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মৈকুলী এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগমের নেতৃতে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অবৈধ বিতরণ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান। এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাঁধা দিয়ে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
তাদের হামলায় তিতাসের ৪ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে এলাকার ৩ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করলে সরকারি কাজে বাধাদান ও অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগে তাদের তাৎক্ষনিক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। পরে অবৈধ ভাবে নেয়া তিতাস গ্যাসের বিতরণ লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে খাদুন, মৈকুলী, খিদিরপুর, নয়াপাড়া, বড়ভিটা, আরাফাতনগর গ্রামের প্রায় ৫ হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন তিতাস গ্যাসের জোবিঅ সোনারগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাফরুল আলম, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নিপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, রিফাত আব্দুল্লাহ, নিলাম্বর কুমার সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, প্রদিপ বিশ্বাসসহ বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্যগণ।