× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তফসিলি জাতি ও জনজাতি ভোটের উপর নির্ভর করছে মমতার ভাগ্য

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৪, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের ৬০টি কেন্দ্রে তফসিলি জাতি ও জনজাতি ভোটের উপর নির্ভর করছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগ্য। এদের দলে টানতে পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পক্ষে ২০০ আসনে জয়ী হওয়া সম্ভব হবে। দলনেত্রী ২০২১ সালের ভোটের লক্ষ্যে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছেন। সেই প্রশান্ত কিশোরই লোকসভা ভোটের ফলের ভিত্তিতে ২৯৪ আসনের বিধানসভায় সমীক্ষা চালিয়ে তৃণমূলকে এই মত জানিয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের ভোটের প্রায় ৮% বেশি বিজেপি তৃণমূল কংগ্রের চেয়ে বেশি পেয়েছে। আর বিজেপি যে সব আসন জিতেছে, তার বেশির ভাগ তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। তফসিলি সংরক্ষিত আসনের দলীয় বিধায়ক, জেলা পরিষদ সভাধিপতি ও সাংগঠনিক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে হাতছাড়া তফসিলি জাতি ও জনজাতি ভোট ফেরাতে পারলে ২০২১ সালে তৃণমূলের ২০০ আসন নিশ্চিত হতে পারবে। তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, সংরক্ষিত আসনের দলীয় জনপ্রতিনিধিদের জনবিচ্ছিন্নতা উদ্বেগের কারণ।
তিনি বলেছেন, তফসিলি জাতি ও জনজাতি বিধায়কেরা এই অংশ থেকে উঠে এলেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। ফলে, জনজাতি মানুষও এই জনপ্রতিনিধিদের আর নিজেদের লোক মনে করছেন না। লোকসভা ভোটে তার প্রভাব পড়েছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন মমতা। বর্তমানে অবশ্য বিধানসভা ভোটের হিসেবে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত ৮৪ টি আসনের ৫৮টি তৃণমূল কংগ্রেসর দখলে। আর এই সব আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসন তফসিলি মতুয়া সম্প্রদায় অধ্যূষিত। তবে গত কয়েক বছরের  বিজেপি এই মতুয়া ভোটে ভাগ বসাতে সংগঠন তৈরি করেছে। এছাড়া গত নির্বাচনে জনজাতির মানুষও বিজেপির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো এবং তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু কাজের প্রস্তাব করা হয়েছে। সংরক্ষিত আসনের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের অনেকের মতে, তফসিলি অধ্যুষিত অঞ্চলে গৃহ প্রকল্পের সুবিধা বৃদ্ধি এবং বার্ধক্যভাতা প্রাপকের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রযোজন। আবার এক অংশের মত হল,  পিছিয়ে থাকা এই অংশের গরিব মানুষকে আরও বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসা, শিক্ষার ক্ষেত্রে কলকাতার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই এই কাজ করা দরকার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর