× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী অপহরণের তদন্ত শুরু

এক্সক্লুসিভ

কলকাতা প্রতিনিধি
১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

পশ্চিমবঙ্গের হাবড়ায় দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, অপহরণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক চক্র। বাংলাদেশের ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী বসির মিঞা এক বন্ধুকে নিয়ে ব্যবসার কাজেই কলকাতায় এসেছিলেন। ব্যবসার সূত্রেই তার সঙ্গে কলকাতায় আলাপ হয়েছিল সেলিম নামে এক ব্যক্তির। সেই ব্যক্তি তাদের হাবড়ায় নিয়ে গেলে সেখানে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তাদের অপহরণ করে ৩০ লাখ রুপি মুক্তিপণ দাবি করে। দুইদিন অপহৃতদের হেফাজতে থাকার পর ৬ লাখ রুপি মুক্তিপণ দিয়ে কোনোরকমে পালিয়ে আসেন তারা। গত বুধবার কলকাতায় ফিরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এন্টালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, শুধু মুক্তিপণই নয়, তার সঙ্গে থাকা ৭৫০০ মার্কিন ডলার এবং ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে দুষ্কৃতরা।
বসির তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশি বন্ধু ইলিয়াসকে সঙ্গে নিয়ে  সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেলিম তাদের ব্যবসার প্রয়োজনে হাবড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে তিনজন খাওয়া-দাওয়াও করেন। সেখান  থেকে সেলিমের সঙ্গে ট্রেনে চেপে তারা রওনা হন হাবড়ার উদ্দেশ্যে। অভিযোগ, হাবড়াতে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল  সেলিমের দলবল। তারা পৌঁছতেই একটি গাড়িতে তোলা হয় তাদের। গাড়িতে তাদের  চোখ ও হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়। সেখান  থেকে কোনো অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় বসির এবং ইলিয়াসকে। সেখানে তাদের আটকে রেখে প্রাণে মারার হুমকি দেয়া হয়। অপহরণকারী প্রত্যেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পঞ্চাশ লাখ টাকা চাওয়া হয় মুক্তিপণ হিসেবে। বসির অপহরণকারীদের বলে তার কাছে এত টাকা নেই। তখন অপহরণকারীরা বসিরের মোবাইলফোন থেকে বাংলাদেশে তার বাবা সিকান্দারকে  ফোন করে টাকা চায়। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকেই টাকার ব্যবস্থা করা হয় এবং ভোর হতেই অপহরণকারীদের কাছে ৬ লাখ টাকা পৌঁছে দেয়া হয়। সেই টাকা পাওয়ার পর অপহরণকারীরা সীমান্তে লোক পারাপার করার দালালদের হাতে দু’জনকে তুলে দিয়ে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে বলে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দালালদের বসির ভয় দেখায় যে তারা বিএসএফকে সব কথা বলে দেবে। তখন দালালরা তাদের ছেড়ে দিয়েছে। ট্রেনে চেপেই কলকাতায় ফিরে এসে তারা এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অপহরণের মামলা শুরু করেছে। পুলিশের মতে, এই ঘটনার পেছনে একটি বড় চক্র রয়েছে। সেই চক্রে ভারত এবং বাংলাদেশের দুষ্কৃতরা যুক্ত রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কিছু সূত্র পাওয়া  গেছে। সেই অনুযায়ী অপরাধীদের ধরার  চেষ্টা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর