× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রক্তাক্ত গাজা / নিহত ৩৪ ফিলিস্তিনি

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

দুইদিন ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাতভর বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এতে সেখানে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। উত্তেজনা কমাতে যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় মিশর ও জাতিসংঘ। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসলামিক জিহাদ ও ইসরাইল। তবে আল-জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চলাকালীনও উভয় পক্ষ থেকেই রকেট ও বিমান হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে।

যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই একটি টুইট করেন। এতে তিনি বলেন, গাজার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ। তবে আল-জাজিরার কাছে ইসলামিক জিহাদের এক সদস্য জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির পর গাজা থেকে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে এবং একইসঙ্গে ইসরাইলও এর জবাব দিয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে একটি বড় ধরনের যুদ্ধ আসছে বলেও জানান তিনি। যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী ইসরাইল আশ্বাস দিয়েছে, তারা গাজার অভ্যন্তরে কোনো গুপ্তহত্যা চালাবে না এবং গাজায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করা হবে না। অপরদিকে ইসলামিক জিহাদ নিশ্চিত করে যে, আন্দোলনের সময় ফিলিস্তিনি আন্দোলনকারীরা স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখবে এবং সহিংসতা এড়িয়ে চলবে।

এর আগে সামপ্রতিক এই ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার। এদিন মিশর-ইসরাইল কর্তৃক অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে ইসলামিক জিহাদের প্রথম সারির নেতা আবু আল আত্তাকে হত্যা করে ইসরাইল। এতে আরো নিহত হন তার স্ত্রী। অন্যদিকে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় তাদের ছেলেকেও। এরপর গাজা থেকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে ব্যাপক রকেট হামলা চালায় ইসলামিক জিহাদের সদস্যরা। জবাবে গাজায় দু’দিনব্যাপী বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা  বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। আহত হয়েছেন আরো শতাধিক।

ইসলামিক জিহাদের এক মুখপাত্র বলেছেন, গাজার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা  থেকে অস্ত্র বিরতি শুরু হয়েছে। মিশরের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মিশরের মধ্যস্থতায় এই অস্ত্র বিরতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি বিষয়ক দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ বলেছেন, জাতিসংঘ ও মিশর উভয় পক্ষই গাজাকে ঘিরে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে অগ্রসরতা ঠেকাতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এক টুইট বার্তায় তিনি উভয় পক্ষকে প্রাণহানি এড়াতে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, রকেট হামলা বন্ধ না হলে ইসরাইল  কোনো দয়া দেখাবে না। তারা হামলা চালিয়েই যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর