শনিবার গাজীপুরের সায়রা রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সভা। বাফুফের এই সভাকে কেন্দ্র করেই মুখোমুখি অবস্থানে দুই পক্ষ। দু’পক্ষের একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল চেয়ারম্যান ও সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে রুহুল আমিন মফস্বলের ফুটবল সংগঠকদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করছেন। তার উদ্যোগেই পুনর্গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এসোসিয়েশন। তিনি এই সংগঠনের সভাপতি। গতকাল এই কমিটির নতুন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। দুটি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে মূলত নির্বাচনী কাজ গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
বাফুফেতে সাধারণ সভা অনিয়মিত। এবার প্রতিপক্ষের চাপে এজিএম করতে যাচ্ছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। এই সাধারণ সভা সামনে রেখে একদিকে বাফুফে ঘনঘন ডেকেছে তাদের কাউন্সিলরদের। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ তরফদার রুহুল আমিনরাও। গতকাল বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভার কথা শুনেই জরুরি সভা ডাকে বাফুফে। সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকার ক্লাবগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন রুহুল আমিন। সেখানে ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত থাকায় মুমিনুল হক সাঈদকে সরিয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মারুফ হাসানকে দায়িত্ব দেয় সংগঠনটি। এখানেই বাফুফের সাধারণ সভা নিয়ে কথা বলেন রুহুল আমিন। তিনি বলেন, আমাদের ভয়ে বাফুফে তড়িঘড়ি করে এজিএম করছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই এজিএমএ-এ ভোট বাড়ানোর চক্রান্ত করছে তারা। এছাড়া বাফুফের আর্থিক প্রতিবেদনেও নানা অসঙ্গতি আমাদের চোখে পড়েছে। বিগত দিনে বাফুফেতে বসে সালাউদ্দিন যে লুটপাট করেছেন, তার চিত্র ফুটে উঠেছে এই আর্থিক প্রতিবেদনে। আমরা এর প্রতিবাদ করবো।
এদিকে জরুরি সভা শেষে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, আমরা কারো কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করতে এই সভা ডাকিনি। আসন্ন এজিএমের আপডেট জানাতে এই সভা ডাকা হয়েছে। আশা করছি আগামীকালের এজিএম নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।