× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু /ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাক্তারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

 মৃত্যুর পর মুখে অক্সিজেনের মাস্ক লাগিয়ে প্রসূতি মা নওশীন আহমেদ দিয়াকে (২৯) ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানে যাওয়ার পর জানানো হয় কয়েকঘণ্টা আগেই মারা গেছেন দিয়া। এর আগে ভুল চিকিৎসা ও ভুল ওষুধ প্রয়োগে তাকে হত্যা করা হয়। এই অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই প্রাইভেট হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বুধবার। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন দিয়ার পিতা শিহাব আহম্মদ গেন্দু। মামলার আসামিরা হচ্ছেন চিকিৎসক ডিউক চৌধুরী, অরুনেস্বর পাল অভি ও মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল। তাদের মধ্যে ডিউক চৌধুরী শহরের মুন্সেফপাড়াস্থ খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন।
এদিকে আজ সকালে কবর থেকে দিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে উত্তোলন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- শহরের মুন্সেফপাড়া ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহাম্মদ দিয়া গর্ভবতী অবস্থায় গত ৩০শে অক্টোবর খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার আগাম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার ১টি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়া হয়। এরপর হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী স্বামীর বাড়িতে নেয়া হয় তাকে। ৪ঠা নভেম্বর ভোর বেলায় দিয়ার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিক তাকে আবার খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার ডিউক চৌধুরী, অরুনেশ্বর পাল অভি ও মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল মৃত্যু হতে পারে জেনেও দিয়ার ভুল চিকিৎসা এবং ভুল ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। এরপর সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তা গোপন করে চিকিৎসার নামে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। এ সময় দিয়ার স্বজনরা মেডিসিনের অভিজ্ঞ চিকিৎসক কল দিতে বললেও  ডিউক ও অন্যান্য ডাক্তাররা চুপ থাকেন। একপর্যায়ে দিয়ার মৃত্যু হলেও তার মুখে অক্সিজেনের মুখোশ লাগিয়ে দুপুর ১টার দিকে দ্রুত তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন ডিউক ও অন্য দুই চিকিৎসক। দিয়ার বাবা অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মেয়েকে নিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে পৌঁছলে সেখানে ডাক্তাররা দিয়াকে মৃত বলে জানান। আরো জানান কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে দিয়ার। ডাক্তার ডিউক ও তার হাসপাতালের বিরুদ্ধে রয়েছে আরো নানা অভিযোগ। দিয়া ৫ বছর ১০ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান এবং ৪ দিনের নবজাতক রেখে মারা যান। তার স্বামী শহরের মুন্সেফপাড়ার সাইফুল ইসলাম তিলক। দিয়ার শ্বশুর শহরের প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার এবিএম তৈমুর। এবিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি সেলিম উদ্দিন জানান- তারা তদন্ত করছেন। আজ কবর থেকে লাশ উত্তেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর