উল্লাপাড়া রেল স্টেশনে লাইনের ক্রটির কারণেই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রাথমিক অনুসন্ধানে সিগন্যালের কোনও প্রকার ক্রটি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।
আজ সকালে তিনি বলেন, লাইনের ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সে কারণে স্থানীয় চার-পাঁচজন ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিআরপি থানা পুলিশের মাধ্যমে ডেকে আনা হয়েছে।
এদিকে উল্লাপাড়া রেল স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত চারটি তদন্ত কমিটির কোনটিই শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেনি। পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের পাকশীর ডিআরএম অফিসের নির্দেশে গঠিত কমিটির প্রধান মো. আবদুল্লাহ আল মামুন দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রাথমিক তদন্ত কাজ শুরু করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের (পাকশী বিভাগীয়) এ পরিবহন কর্মকর্তা।
অন্যদিকে আজ শুক্রবার সকালে রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেনের আগমনের অপেক্ষায় উল্লাপাড়া স্টেশনে রয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ ও মহাপরিচালক দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন বৃহস্পতিবার দুপুরে উল্লাপাড়া স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম পার হওয়ার পর হঠাৎ করে দুর্ঘটনায় পড়ে। ইঞ্জিন বাদে সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ইঞ্জিনটি হঠাৎ ওপরের দিকে উঠে লাইন থেকে ছিটকে পড়ে।
সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনসহ এসি বগিতে আগুন ধরে। এরপর আরও তিনটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ২৫ জন যাত্রী আহত হন। উত্তরাঞ্চলসহ খুলনা ও রাজশাহীর সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকায় সিডিউল বিপর্যয় ঘটে।