চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে চায় ভারত। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম কিনছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ভারতকে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত এই ব্যবস্থা কিনতে একমত হয় ভারত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
ব্রাজিলে ব্রিক-ভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলেনে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন পুতিন।
তিনি বলেছেন, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে বলছি, সব কিছুই হচ্ছে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী। ভারতে আমাদের সহকর্মীরা এ বিষয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করার জন্য তাড়াহুড়ো করেন নি। মসৃণ গতিতে চলছে সব। এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন বলে জানান পুতিন। সেপ্টেম্বরে ভ্লাদিভস্তকে মোদির সঙ্গে তার এ আলোচনা হয়। সেখানে রাশিয়া ও ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো সমৃদ্ধ করা যায় কিভাবে তা নিয়ে আলোচনা করেন এই দু নেতা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১১তম ব্রিক সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। সেখানে মোদি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আগামী বছর রাশিয়ার প্রাদেশিক ও ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় আঞ্চলিক ফোরামের বৈঠক হবে। এতে আঞ্চলিক বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর হবে। এতে আরো বলা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২৫০০ কোটি ডলার ধরা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তা অর্জিত হয়েছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই নেতা।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার চমৎকার এক বৈঠক হয়েছে। এতে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের সব ইস্যুতে বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়েছে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করছে রাশিয়া ও ভারত। ঘনিষ্ঠ এই সম্পর্কের সুবিধা ভোগ করবে আমাদের দেশবাসী। ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের ফাঁকে রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের দুই মাস পরে আবার এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হলো। ভ্লাদিভস্তকের বৈঠকে রাশিয়ার ফার ইস্ট অঞ্চল বলে পরিচিত সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকার উন্নয়নে অপ্রত্যাশিতভাবে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির বিষয়েও আমলে নেন তারা। ওই বৈঠকে আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিষয় জোর দিয়ে তুলে ধরেন পুতিন এবং তিনি সে অঞ্চলে ভারতকে বিনিয়োগে আমন্ত্রণ জানান।