× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা নির্যাতন / মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তের অনুমোদন আইসিসির

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৫, ২০১৯, শুক্রবার, ২:৩২ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। বৃহস্পতিবার আদালতের তিন বিচারক বিশিষ্ট একটি প্যানেল এই অনুমোদন দিয়েছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রসিকিউশনের আবেদনের পর এ অনুমোদন দিয়েছেন তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, সম্প্রতি রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ছে। সোমবার দ্য হেগে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে গাম্বিয়া। এরপর বুধবার আর্জেন্টিনায় মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক নৃশংসতা শুরু হয়। এর হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে কমপক্ষে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা।

২০০২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অপরাধগুলোর বিচারের জন্য আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়।
হেগ-ভিত্তিক আদালতটি বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা অপরাধ অভিযোগের তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে। আদালতের তথ্য অনুসারে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত সহিংস কর্মকা- এবং জাতি বা ধর্ম বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। আদালতের তিন বিচারক বিশিষ্ট প্যানেল বলেছে, এমনটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ও/অথবা পদ্ধতিগত সহিংস কর্মকা- সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। যেগুলো মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে পাড়ি দেয়া মানুষদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। এছাড়া, জাতি ও ধর্ম বিবেচনায়ও তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন। দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত বিষয়ক পরিচালক জর্জ গ্রাহাম বলেন, মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে মাত্রা ও তীব্রতার সহিংসতা চালিয়েছে তা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ শুনানির দাবি রাখে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা বালক-বালিকাদের হত্যা করা হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে। তারা গর্হিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ও দেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা বা জাতিগত নিধনের চালানোর অভিযোগ এনেছে। তবে মিয়ানমার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি আইসিসির সদস্য নয়। তবে গত বছর এক রায়ে আইসিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ তাদের বিচারিক এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। কেননা, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে একটি প্রাথমিক তদন্ত করার অনুমোদন পেয়েছিলেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর ফাতাও বেনসুদা। পরবর্তীতে চলতি বছরের জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পূর্ণ মাত্রার তদন্তের আবেদন করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর