× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের পথে বাংলাদেশ

এক্সক্লুসিভ

কাজী সোহাগ
১৬ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার

২০২৪ সালের মধ্যে আরো একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে ওই স্যাটেলাইটের অঙ্গীকার। এরই আলোকে কাজ শুরু করেছে সরকার। তবে কি ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে তা শিগগিরই চূড়ান্ত করবেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করা হচ্ছে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। দ্বিতীয় স্যাটেলাইটটি হাইব্রিড স্যাটেলাইট হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বহু ধরনের সেবা পাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
আমাদের ধারণা, স্টেক হোল্ডারদের চাহিদা অনুযায়ী এই স্যাটেলাইট হবে হাইব্রিড স্যাটেলাইট। দ্বিতীয় স্যাটেলাইট কী কী কাজে ব্যবহার করা হবে তা জানতে শিগগিরই পরামর্শক নিয়োগ করা হবে।

দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সেমিনার করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি জানান, আমরা উইস লিস্ট তৈরি করেছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ ব্যবহার করেছি, আরো বাকি আছে। সুতরাং পরবর্তী স্যাটেলাইট হবে হাউব্রিড স্যাটেলাইট। যেন যোগাযোগ ছাড়াও আবহাওয়ার তথ্য পাওয়াসহ অন্য সেবায় ব্যবহার করতে পারি। ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য দ্রুতই কনসালটেন্ট নিয়োগ দেবো। কোন কোন ক্ষেত্রে চাহিদা আছে সেগুলো তারা জরিপ করে জানাবে। আর কোন দেশ থেকে স্যাটেলাইট কেনা হবে সেটা সরকারি সিদ্ধান্ত। আশা করি, ৩/৪ মাসের মধ্যে মতামত পাবো। আর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী এই সরকারের আমলেই উৎক্ষেপণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে অনেক কম খরচে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট হবে জানিয়ে ড. শাহজাহান বলেন, আগের স্যাটেলাইটের চেয়ে নতুনটির খরচ কম হবে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মহাকাশে চারটি স্লটের আবেদন করা আছে, তবে ১০২ ও ৭৪ স্লট ভালো হতে পারে। বিটিআরসি থেকে স্লটের ব্যাপারে আইটিইউ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের বিভিন্ন দিক নিয়ে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, অন্য দেশ এক- দেড় বছরের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারে না।

কিন্তু আমরা এক বছরের মধ্যে কাজে লাগাতে শুরু করেছি। এই স্যাটেলাইট ১৫টি দেশে সেবা দিতে সক্ষম। তিনি বলেন, আমরা প্রথমত তিন মাস টেলিভিশনগুলোকে ফ্রি সেবা দিয়েছি। ২রা অক্টোবর থেকে বিল ধরা শুরু করছি। টেলিভিশনগুলোর জন্য তিনটি রিডানডেন্সি চালু করেছি যাতে কোনো কারণে একটি সংযোগ কাটা পড়লেও বিকল্প পথ থাকে। আরো একটা রিডানডেন্সি তৈরির কাজ করছি। একবছরে সবচেয়ে বড় অর্জন ৩৫টি টিভি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবায় চলে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিভি চ্যানেলগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ পৃথিবীর সব জায়গায় যাতে কাভার করতে পারে সে ব্যাপারে কাজ করছি। এ ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিমেডিসিন ও টেলি এডুকেশনে কাজ করছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। আজকে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে ভোলার চর নিউরির একজন প্রসূতি মা ঢাকার বঙ্গবন্ধু হাসপাতালের ডাক্তারকে দেখাতে পারছে। এটা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক খুশি। ভি-স্যাট সুবিধার মাধ্যমে একটি ব্যাংককেও সেবার আওতায় আনা হচ্ছে। স্যাটেলাইট সেবার জন্য ভারত বড় বাজার জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসি এ বিষয়ে যোগাযোগ করবে। আমরা অভ্যন্তরীণ বাজারকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি, যে পরিমাণ ধারণা করছিলাম তার থেকে চাহিদা বেশি। বিসিএসসিএল চেয়ারম্যান বলেন, ভূমিকম্পে দুর্যোগের সময় নেপালে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে যদি এরকম যেকোনো দুর্যোগ হয় তাহলে সব জায়গায় যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ ফাইবার অপটিকের চেয়ে দাম অনেক বেশি। যদি আমরা কম দামে দিতে পারতাম তাহলে বেশ ভালো হতো। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিটিএইচ সেবার জন্য বেক্সিমকো কমিউনিকেশনকে ফ্রি সেবা দেয়ার কথা অপপ্রচার, তারা আমাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। সমস্ত টেলিভিশন থেকে যত টাকা পাই তার প্রায় কাছাকাছি পাই তাদের কাছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর