× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট শেষ হচ্ছে আজ

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
১৬ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে চলছে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট ২০১৯’-এর জমজমাট আসর। দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান সব ফোক শিল্পী গান গাইছেন এ আসরে। আজ শেষ হয়ে যাবে তিনদিনের এ উৎসব। সুবীর নন্দী, বারী সিদ্দিকী, শাহনাজ রহমতউল্লাহ, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, ফকির আব্দুর রব শাহ ও আইয়ুব বাচ্চু- বাংলা সংগীতের এই ছয় কিংবদন্তিকে উৎসর্গ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সূচনা ঘটে এ উৎসবের। এই ছয়  মহারথীর ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের আয়োজনে চলছে এ উৎসব। প্রেমা ও তার দল ‘ভাবনা’র নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। সামিনা হোসেন প্রেমার পরিচালনায় নাচের এ দলটি পরিবেশন করে সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ধামাইল নৃত্য।
এরপর একে একে আরো বেশ কয়েকটি নাচের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিবেশনা শেষ করে তারা। এরপর মঞ্চে আসে জর্জিয়ার ফোক ব্যান্ড শেভেনেবুরেবি। নিজেদের কয়েকটি পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধ করে তারা। তারপর মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের ফোক গানের বিশিষ্ট শিল্পী শা হ আলম সরকার। তার পরিবেশিত একের পর এক লোকগানে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ।

এরপর হালকা শীতের রাতে নিজের পরিবেশনা নিয়ে হাজির হন প্রথম দিনের অন্যতম আকর্ষণ ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দালের মেহেন্দী। নিজের শ্রোতাপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট ২০১৯ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, লোকসংগীত জীবনের কথা বলে। এই গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের অব্যক্ত কথাগুলো বলা হয়। এ আয়োজনে স্বাগত বক্তব্যে সান ফাউন্ডেশন ও সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে, সারা বিশ্বের মানুষ এখন আমাদের এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার বলেন, আয়োজকদের ধন্যবাদ বাংলার লোকসংগীতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। সম্মানিত অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল কালাম আবদুল মোমেন বলেন, লোকসংগীত আমাদের হাসি বেদনার বহিঃপ্রকাশ।

এ গানের সম্পর্ক আমাদের নাড়ির সঙ্গে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের রাব্বি ও শফিকুল, কাজল দেওয়ান, পাকিস্তানের হিনা নসরুল্লাহ ও মালির হাবিব কইটে অ্যান্ড হামাদ। প্রসঙ্গত, এবারের আসরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ছয়টি দেশ থেকে দুই শতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে অন্যতম শিল্পীরা হলেন ভারতের দালের মেহেন্দী, পাকিস্তানের জুনুন ও হিনা নাসরুল্লাহ, রাশিয়ার সাত্তুমা, জর্জিয়ার শেভেনেবুরেবি এবং মালি থেকে আগত হাবিব কইটে অ্যান্ড হামাদ। আর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন শাহ আলম সরকার, মালেক কাওয়াল, কাজল দেওয়ান, ফকির শাহাবুদ্দিন, চন্দনা মজুমদার, কামরুজ্জামান রাব্বি, শফিকুল ইসলাম, প্রেমা ও ভাবনা নৃত্যদল প্রভৃতি। উৎসবটি সরাসরি সমপ্রচার করছে মাছরাঙা টেলিভিশন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর