পাকুন্দিয়ায় ১২ বছরের এক কিশোরী সন্তান প্রসব করেছে। অবিবাহিত এ কিশোরীর প্রসব করা সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে গুঞ্জন। গত ৬ই নভেম্বর উপজেলার চরদেওকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব করে ওই কিশোরীর। কিশোরীর বাড়ি চরদেওকান্দি গ্রামে। তদন্ত করে প্রকৃত ধর্ষককে শনাক্ত করে নবজাতক কন্যার পিতৃ পরিচয় বের করতে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরীর মা। গত বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরদেওকান্দি গ্রামের ওই কিশোরী সহজ সরল প্রকৃতির এবং কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। কোনো কিছুই সে মনে রাখতে পারে না, সঠিকভাবে কিছু বলতেও পারে না।
মেয়ের মা-বাবা তাকে বাড়িতে একা রেখে বিভিন্ন কাজে বাড়ির বাইরে অবস্থান করে। গত চার মাস আগে ওই মেয়ের মায়ের সন্দেহ হয় তার কিশোরী কন্যা গর্ভবতী। পরে চিকিৎসকের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হন তিনি। কিন্তু কে ওই কিশোরী মেয়েকে এমন খারাপ কাজ করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না ওই কিশোরী। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে কিশোরীর পরিবার। পরে গত ৬ই নভেম্বর নিজ বাড়িতে কিশোরী একটি ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দেয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে নবজাতকসহ ওই কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ঘটনায় কিশোরীর বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এদিকে ওই কিশোরীর নবজাতক কন্যা সন্তানের প্রকৃত পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিশোরীর পিতা বলেন, আমার মেয়েটা বোকা প্রকৃতির। কোনো কিছুই সে বুঝে না। যে আমার এই বোকা মেয়েটার সঙ্গে এমন করেছে আমি তার কঠোর বিচার চাই। যেন দেশ ও দশে জানতে পারে এমন জঘন্য কাজটা কে করেছে। সেজন্য তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ শিশুটির আসল বাবা কে তাকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। কিশোরী ও তার নবজাতকের অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।