বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে নিজেদের ১ হাজারতম ম্যাচ খেলতে নামলো ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন হ্যারি কেইন। উজ্জ্বল মার্কাস রাশফোর্ড, আলেক্স অক্সলেড-চ্যাম্বারলিন ও টামি আব্রাহামও। ক্লাব পর্যায়ের ফর্মটা জাতীয় দলে জারি রাখলেন তারা। প্রত্যেকে একটি করে গোল করলেন। ইংল্যান্ড জিতলো ৭-০ গোলে। বাছাই পর্বে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা নাম লেখালো ২০২০ ইউরোর মূল পর্বে। ম্যাচের পর অধিনায়ক কেইন বলেন, ‘হাজারতম ম্যাচে আমরা কিছু একটা করে দেখাতে চেয়েছিলাম।
প্রথমার্ধে পাঁচ গোল দিয়ে মনে হয় সেটি দেখাতে পেরেছি আমরা।’ মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ৩৭ মিনিটের মধ্যেই ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। গত ৭৩ বছরের মধ্যে যা তাদের দ্রুততম ৫ গোলের রেকর্ড। ১৯৪৬ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩৫ মিনিটে ৫ গোল দিয়েছিল থ্রি লায়ন্সরা।
মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচের ১১তম মিনিটে ইংল্যান্ড লিড নেয় লিভারপুল তারকা চ্যাম্বারলিনের গোলে। ১৮ ও ২৪তম মিনিটে দুবার জালে বল পাঠান অধিনায়ক কেইন। ৩০তম মিনিটে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড রাশফোর্ড ব্যবধান বাড়ান। সাত মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কেইন। ইংল্যান্ডের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ওয়েম্বলিতে ব্যাক-টু-ব্যাক হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। আর থ্রি লায়ন্সদের সর্বকালের সেরা গোলদাতার তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলেন কেইন। ৩১ গোল নিয়ে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, অ্যালান শিয়েরার, ন্যাট লোফটহাউস, ভিভ উডওয়ার্ড ও টম ফিনিকে পেছনে ফেলেন তিনি। কেইনের সামনে আছেন মাইকেল ওয়েন (৪০), জিমি গ্রেভস (৪৪), গ্যারি লিনেকার (৪৮), ববি চার্লটন (৪৯) ও ওয়েইন রুনি (৫৩)।
৮৪তম মিনিটে ইংল্যান্ডের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পান আব্রাহাম। থ্রি লায়ন্সদের ৪৩০তম খেলোয়াড় হিসেবে গোল করলেন তিনি। মাঝে একটি গোল আসে আত্মঘাতি খাত থেকে। ১০০০ ম্যাচে মোট ৫৪টি আত্মঘাতি গোল পেয়েছে ইংল্যান্ড। আর চলতি বাছাই পর্বে ৭ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ৩৩ গোল দিয়েছেন কেইনরা। যা এখন পর্যন্ত কোনো দলের বাছাই পর্বে সর্বাধিক। ৩০ গোল নিয়ে বেলজিয়াম রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে ইউরোর টিকিট কেটেছে চেক প্রজাতন্ত্র। ঘরের মাঠে কসোভোর বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জেতে তারা। আগামীকাল কসোভোর বিপক্ষে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে ইংল্যান্ড। কেইন বলেন, আমরা শেষ ম্যাচটাও জিততে চাই।
ইংল্যান্ডের ১০০০ ম্যাচ
জয়: ৫৬৯
হার: ১৯০
ড্র: ২৪১