ঝিনাইদহের বাজারগুলো এখন পিয়াজের জন্য হাহাকার। বাইরের থেকে পিয়াজ না আসায় সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই গৃহস্থরা এবং মধ্যস্বত্ব ভোগী ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, পিয়াজের বৃহত্তম মোকাম হচ্ছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা, কুষ্টিয়া ও মাগুরার কিছু এলাকা। কুষ্টিয়ার বাঁশগ্রাম, পানটি, রাজারহাট, শৈলকুপার সানদিয়াড়া, শ্মশানের হাট, খুলুমবাড়িয়া, কাতলাগাড়ী, লাঙ্গলবাঁধ, শেকড়া ও মাগুরার শ্রীপুর ও লাঙ্গলবাঁধ বাজারে প্রচুর পিয়াজ উঠছে। এতোদিন ঘরে মজুদ রাখা পিয়াজ গৃহস্থরা ও ব্যবসায়ীরা এখন দাম বেশি পাওয়ায় বাজারে তুলছেন। ঝিনাইদহের কাঁচাবাজারের ব্যাবসায়ী আবুল কালাম আজাদ ও মোকাদ্দেস হোসেন জানান, তারা ৮ হাজার টাকা মণ দরে পিয়াজ কিনে ঝিনাইদহের হাটে বিক্রি করছেন। আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা।
ঝিনাইদহের ছোটবড় বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পাইকারি ২২০ টাকা দরে পিয়াজ বিক্রয় করা হলেও খুচরা বাজারে বিক্রয় করছে ২৫০ টাকা দরে। গত দুদিন আগেও ভাটোই বাজারসহ শহরের নতুন হাটখোলা থেকে শুরু করে ঝিনাইদহ ট-বাজার, ওয়াপদা বাজার, পুরাতন হাটখোলা, আরাপপুর কাঁচাবাজার, পাগলাকানাই কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রয় করা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পিয়াজের বাজারে আগুন দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহ নতুন হাটখোলা থেকে কয়েকজন পিয়াজ ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান ঝিনাইদহে পিয়াজের বাজার সারা জীবনের জন্য এটা একটা রেকর্ড হয়ে থাকবে। ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, দেশ স্বাধীনের পর পিয়াজের এতো সংকট কখনো দেখেনি। তিনি বলেন, ঝিনাইদহের বাজারে পিয়াজের এমন দাম দেখে মানুষ আজ হতাশ। এনিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে গৃহিণীরা পিয়াজের দাম বৃদ্ধিতে চরম ক্ষুব্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিয়াজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।