× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১২ দিন পর কবর থেকে দিয়ার লাশ উত্তোলন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৬ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার

ভুল চিকিৎসা ও ওষুধ প্রয়োগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কুল শিক্ষক নওশীন আহমেদ দিয়াকে (২৯) মেরে ফেলার অভিযোগে ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর  গতকাল কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয় ময়নাতদন্তের জন্যে। তবে এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ মিলেছে। মামলার বাদী দিয়ার পিতা শিহাব আহমেদ গেন্দু মিয়া জানান, গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন তিনি। ওই দিন বিকালে লাশ উত্তোলনের কথা ছিল। পরে তা শুক্রবার সকাল ১০টায় নির্ধারণ করা হয়। সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ শহরের শেরপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন চিকিৎসক সংকটের কারণ দেখিয়ে ময়নাতদন্তের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত  হোসেনের সঙ্গে কথা বলে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর সকাল প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে লাশ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস, এসআই শিরিন আক্তার, আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়।  বিকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসক আজহারুর রহমান তুহিন, ডা. ইকরামুল রেজা ও ডা. সাখাওয়াত হোসেন দিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত করেন। উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়া ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহাম্মদ দিয়া গর্ভবতী অবস্থায় গত ৩০শে অক্টোবর খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর সুস্থ হওয়ার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়া হয়। ৪ঠা নভেম্বর পুনরায় দিয়ার শরীর খারাপ হলে তাকে আবার ওই হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার ডিউক চৌধুরী, অরুনেশ্বর পাল অভি ও মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল মৃত্যু হতে পারে জেনেও দিয়ার ভুল চিকিৎসা এবং ভুল ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। দিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার মুখে অক্সিজেন দিয়ে দুপুরে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে পৌঁছলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, কয়েক ঘণ্টা পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরে এ ঘটনায় ওই ৩ চিকিৎসককে আসামি করে মামলা করেন দিয়ার পিতা। এরপর ময়নাতদন্তের জন্যে ১২ দিন পর কবর থেকে দিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর